যুক্তরাজ্য থেকে আসা যাত্রীদের সঙ্গে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকলেও ১৪ দিন বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয় ১ জানুয়ারিতে। তবে দেশটি থেকে আসা যাত্রীদের ক্ষেত্রে আরোপিত এ নিয়ম কিছুটা শিথিল করেছে সরকার। যুক্তরাজ্যফেরত যাত্রীদের চারদিন বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা থেকে গতকাল এ-সংক্রান্ত নতুন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার আদেশে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য থেকে আসা যাত্রীদের সরকার নির্ধারিত হোটেলে নিজ খরচে চারদিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। কোনো যাত্রী হোটেলে যেতে না চাইলে সরকারি ব্যবস্থাপনার কোয়ারেন্টিন সেন্টারে থাকতে হবে। চারদিন পর যাত্রীদের পিসিআর পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল এলে বাড়িতে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হবে। পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ হলে সেই যাত্রীকে কোয়ারেন্টিন থেকে সরকার নির্ধারিত হাসপাতালে আইসোলেশনে পাঠানো হবে। হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যয় যাত্রীকে বহন করতে হবে।
প্রসঙ্গত, লন্ডন ও আশপাশের এলাকা থেকে করোনার একটি নতুন ধরন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এজন্য গত ডিসেম্বরের শেষদিকে বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও যুক্তরাজ্য
থেকে আসা যাত্রীদের বিষয়ে সতর্কতা জোরদার করা হয়।
গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্য থেকে আসা যাত্রীদের সঙ্গে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ না থাকলে বাধ্যতামূলকভাবে সাতদিন কোয়ারেন্টিনে থাকার বিষয়টি জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এরপর ২৮ ডিসেম্বর সরকার সেই সময়সীমা বাড়িয়ে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করে, যা ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়। ওই ১৪ দিন যাত্রীদের নিজ খরচে সরকার নির্ধারিত হোটেলে রাখার ব্যবস্থা হয়।