খুলনায় স্কুলছাত্র বাপ্পি হত্যায় ১ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, খুলনা

খুলনার খালিশপুর প্লাটিনাম জুবিলি জুট মিল স্কুল ছাত্র মফিজুল ইসলাম বাপ্পিকে (১৬) পিটিয়ে হত্যা মামলার রায়ে রকি নামের আসামির মৃত্যুদন্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে অন্য পাঁচ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। 

আজ বুধবার দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ এস এম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া পাঁচ আসামি হলেন আল-আমিন, মো. নজরুল, রবিউল, মিলন ও মুজিবর হাওলাদার। এদের মধ্যে আল-আমিন ও নজরুল ছাড়া বাকি তিনজন এখনো পলাতক রয়েছেন।

মামলাটিতে ইব্রাহিম ওরফে বাহাদুর ও হাসান নামের দুজন খালাস পেয়েছেন। এদের মধ্যে হাসান দীর্ঘদিন ধরেই হাজতে রয়েছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।

আদালতের এপিপি অ্যাড. কাজী সাব্বির আহম্মেদ বলেন, ২০১০ সালের ১০ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টায় খালিশপুরের প্লাটিনাম জুবিলি জুট মিল স্কুলের মাঠে ওই স্কুলেরই ছাত্র বাপ্পি ও তার বন্ধু রাজু একসাথে বসে গল্প করছিলো। ওই সময় পূর্বশত্রুতার জের ধরে হকিস্টিক ও লোহার রড নিয়ে বন্ধু রাজুকে মারতে আসে আসামিরা। তখন বন্ধু রাজুকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে আসামিরা বাপ্পির মাথায় হকিস্টিক দিয়ে আঘাত করে। বাপ্পি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এই সুযোগে বন্ধু রাজু পালিয়ে যায়। এরপর আসামিরা বাপ্পীকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। 

পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় বাপ্পীকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ডা. মো. ইসমাইল শেখ ও ডা. সহদেব কুমার দাসের কাছে মৃত্যুকালীন জবানবন্দী দেয় ভিকটিম বাপ্পি। ঘটনার দিন রাত ১১টা ৫ মিনিটে বাপ্পী মারা যায়।

এ ঘটনার পরদিন নিহতের বড় ভাই হাফিজুর রহমান খালিশপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ২০১২ সালের ৩১ মার্চ খালিশপুর থানা পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। ২০১৪ সালের ২ জানুয়ারি এ হত্যা মামলাটির চার্জ গঠন করা হয়।

শুনানিকালে এ হত্যা মামলায় ১৮ জনের মধ্যে ১৬ জন আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন। ওই সময় তৎকালীন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস মোহাম্মদ আলীর আদালতে আসামি রকি ও নজরুল ঘটনার বিবরণী দিয়ে এ হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন এবং অন্যান্য আসামিদের জড়িত থাকার বিবরণ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি অ্যাড. কাজী সাব্বির আহম্মেদ, এপিপি অ্যাড. শামীম আহমেদ পলাশ ও এপিপি অ্যাড. রেহানা পারভিন এবং আসামি পক্ষে অ্যাড. নিরঞ্জন কুমার ঘোষ, শফিকুর রহমান, সৈয়দ খালিদ হোসেন মামলাটি পরিচালনা করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন