আলোকপাত

পরিবেশ দূষণ ও সবুজ বিনির্মাণ

গোলাম রহমান

দূষণের কারণগুলো

অনেক জানা-অজানা কারণে আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম জনসংখ্যা বৃদ্ধি, ভারী মাঝারি শিল্প স্থাপন, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন বন উজাড়, কৃষিতে রাসায়নিক সার বালাইনাশকের ব্যবহার, কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন, কাঠ পুড়িয়ে ইট উৎপাদন, পরিবহন থেকে উত্পন্ন ধোঁয়া শব্দ।

বাংলাদেশের অবস্থা বিবেচনা করলে জনসংখ্যা আমাদের জন্য বিশাল চাপ। বাড়তি জনসমষ্টির জন্য খাবার, পরিধেয় বাসস্থান জোগাড় করতে গিয়ে কৃষিজমির পরিমাণ দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। যেখানে সেখানে শিল্প স্থাপনের ফলে চারপাশের মাটি, বাতাস পানি দূষিত হয়ে যাচ্ছে। সাভার, গাজীপুর নারায়ণগঞ্জের পরিবেশের অবস্থা বেশ সঙ্গিন। সরকার নির্ধারিত শিল্পাঞ্চল যেমন ইপিজেড, বিসিক বা অর্থনৈতিক অঞ্চল ব্যতিরেকে অন্য এলাকায় শিল্প স্থাপনের ফলে ওইসব এলাকার চারপাশের পরিবেশ (মাটি, পানি বায়ু) ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গাজীপুরের প্রাকৃতিক শালবন প্রায় বিলীন হওয়ার পথে এবং সাভার, হেমায়েতপুরের নদীগুলোর (তুরাগ, বংশী ইত্যাদি) পানি অতিমাত্রায় দূষিত।

বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্যের জোগান দিতে গিয়ে কৃষি উৎপাদনের দিকে নজর দিতে হচ্ছে। তবে এর দুটি মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। প্রথম কৃষি, মত্স্য প্রাণীর দেশীয় জাত বিলুপ্তির প্রান্তসীমায় এবং হাইব্রিড ফসলের (কৃষি, মত্স্য পশু) জয়জয়কার। হাইব্রিড জাত আমাদের জন্য কতটুকু ক্ষতিকর, তা এখনো প্রমাণিত নয়। ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ব্যবহূত রাসায়নিক সার পোকামাকড় নির্মূলে ব্যবহূত বালাইনাশক জলাশয়ে মিশে সেখানকার জীববৈচিত্র্যের জন্য বিপর্যয় নিয়ে আসে। অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশ দিন দিন সংকুচিত হয়ে গেছে। রাজধানীসহ অন্য বড় অধিকাংশ দালান-কোঠা জাতীয় বিল্ডিং কোড অনুসরণে গাফিলতির কারণে যতটুকু উন্মুক্ত জায়গা থাকার কথা ততটুকু নেই। ফলস্বরূপ হিট আইল্যান্ড ইফেক্ট (বেশি পরিমাণ ইট-পাথরের অবকাঠামোর ফলে গরমকালে আরো বেশি তাপ সৃষ্টি) তৈরি হয়। অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়, কার্বন নিঃসরণ বৃদ্ধি পায়। ১৯৭৬-৭৭ সালে বাংলাদেশের মোট জমির ৬৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ আবাদযোগ্য জমি ছিল এবং ২০১০-১১ সালে তা ৫৭ দশমিক ৪১ শতাংশে নেমে এসেছে।

কাঠ পুড়িয়ে ইটভাটা এবং কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন। ইটভাটায় যে মাটি ব্যবহার করা হয়, তাকে বলে টপ সয়েল। এই উর্বর মাটি সৃষ্টি হতে কয়েকশ বছর লাগে, যা গাছপালার জন্য পুষ্টিতে ভরপুর। জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহারের ফলে বনভূমি উজাড় হচ্ছে। পাশাপাশি পদ্ধতিতে ইট পোড়ালে দিনে দিনে কৃষিজমির পরিমাণ সংকুচিত হয়ে যাবে। অর্থাৎ জমি থাকবে, তবে সেখানে কোনো ফসল উৎপাদন হবে না। কোল পাওয়ার প্লান্ট থেকে মিলিয়ন টন সালফার ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনো-অক্সাইড, ব্ল্যাক কার্বন নিঃসৃত হয়ে পরিবেশের সর্বনাশ করছে। আর কয়লা পোড়ালে নাইট্রোজেন, সালফার ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, ফ্লাই অ্যাশ (ছাই), কার্বন ডাই-অক্সাইড, মিথেন ইত্যাদি সৃষ্টি হয়; যা মানবশরীর পরিবেশ উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর। সর্বশেষ ইপিআই ইনডেক্সে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৭৯তম। বাংলাদেশের পরে একটি দেশ আছে, তা হলো আফ্রিকার গরিব দেশ বুরুন্ডি।

আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে আরো কিছু ক্ষেত্র আছে, যা পরিবেশ দূষণে ভূমিকা রাখে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, যেমন সাভারের হেমায়েতপুরে, আমিনবাজারে গাবতলীতে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। আশপাশের বাতাস অত্যধিক মাত্রায় দূষিত। পাশাপাশি ওখান থেকে চারদিকের মাটি পানি দূষিত হচ্ছে। বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে ক্রমে দূরে যাচ্ছে, এমনকি নদীর পানিতে গিয়ে মিশছে। পলিথিন প্লাস্টিকের ব্যবহার। এগুলো কয়েকশ বছর মাটিতে অক্ষত অবস্থায় থাকে এবং পানিপ্রবাহের মাধ্যমে সমুদ্র পর্যন্ত পৌঁছে, যা পানিতে বসবাসকারী জীববৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। পরিবেশ অধিদপ্তরের রেড ক্যাটাগরি (সিমেন্ট, সার, পাওয়ার প্লান্ট, পেপার মিল ইত্যাদি) কারখানাগুলো সঠিকভাবে নীতিমালা অনুসরণ না করলে তা মারাত্মকভাবে পরিবেশ দূষণ করতে পারে। যেসব পোশাক শিল্পে ডায়িং, ওয়াশিং কারখানা রয়েছে, তাদের অনেকেই ২৪ ঘণ্টা ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (ইটিপি) না চালানোর ফলে কেমিক্যালযুক্ত দূষিত পানি পার্শ্ববর্তী জমি জলাশয় দূষিত করে ফেলে।

শব্দদূষণ: স্বাভাবিক সহনীয় শব্দের মাত্রা ৬০ ডেসিবল (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক নির্ধারিত মান) এই মান অঞ্চল সময়ভেদে কিছুটা বেশি-কম রয়েছে (আবাসিক, বাণিজ্যিক, দিবা-রাত্রি ইত্যাদি) দেখা গেছে যে কোনো কোনো এলাকায় (ফার্মগেট-কারওয়ান বাজারে) এই মাত্রা ৮০ থেকে ১১০ ডেসিবল।

দূষণের ফলাফল

ভূমিক্ষয়-ভূমিধস: বন্যা, অতিবৃষ্টি অনাবৃষ্টির কারণে জমির গুণগত মান নষ্ট হয়ে যায়। পাশাপাশি ভূমিক্ষয় ভূমিধসের সৃষ্টি হয়।

স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি: পানিদূষণের ফলে আর্সেনিকের মতো প্রাদুর্ভাব হয়। বিশেষ করে যেসব এলাকার পানিতে আর্সেনিকের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক গুণ বেশি। দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ৫৯টি জেলার পানিতে আর্সেনিকের মাত্রা সহনীয় মাত্রার (.০১ মি.গ্রা./লিটার) চেয়ে বেশি। আরো রয়েছে ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া, ডেঙ্গুসহ নানা রোগের প্রাদুর্ভাব। বায়ুদূষণের ফলে চোখ শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি, কাশি, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জি সৃষ্টি হয়। বায়ুতে স্বাভাবিকের চেয়ে কার্বন ডাই-অক্সাইড, সিসা, পিএম-১০, পিএ-, সালফার ডাই-অক্সাইড, ওজোন ইত্যাদি বেশি থাকার ফলে সেই বায়ু মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। শব্দদূষণের ফলে মেজাজ খিটখিটে, অস্থিরতা, পেরেশানি, হূদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। শিশুদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে বাধা, গর্ভবতী নারীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি। তাছাড়া দূষিত পদার্থ খাদ্যের মাধ্যমে মানবদেহে পৌঁছতে পারে। যেমনট্যানারি বর্জ্য মুরগি-মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহারের ফলে তা মানবদেহে চলে আসে। ট্যানারি বর্জ্যে অত্যধিক সিসার উপস্থিতি প্রমাণিত।

 

প্রাকৃতিক দুর্যোগ

শিল্পোন্নত দেশগুলোর কার্বন নিঃসরণের মাত্রা গরিব দেশগুলোর চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। কারণ উন্নত দেশে ভারী শিল্প-কারখানার পরিমাণ অনেক বেশি। কার্বন নিঃসরণের ফলে ভূপৃষ্ঠ উষ্ণ হওয়ার পাশাপাশি সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি ছাড়াও আরো অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা যায়; যেমন আফ্রিকার অধিকাংশ দেশে সুপেয় পানির জন্য হাহাকার, অনাবৃষ্টি, অতিবর্ষণ, খরা, মঙ্গা, ভূমিক্ষয়, সিডর, আইলার মতো সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস, নদীভাঙন ইত্যাদি। আমাদের দেশে দক্ষিণাঞ্চলে সমুদ্রের পানির লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে কৃষিজমি কমে যাচ্ছে, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, নদীভাঙন, হাওড়ে মাছসহ অন্যান্য প্রাণীর সংখ্যা হ্রাস ইত্যাদি।

প্রতিকারের উপায়

পরিবেশ দূষণ হ্রাস পরিবেশের উন্নয়নে অনেক পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। এর মধ্যে জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণ, পলিথিন-প্লাস্টিকের ব্যবহার সীমিত করা, কলকারখানায় ইটিপি চালানো বাধ্যতামূলক করা, কৃষিতে রাসায়নিক সার, বালাইনাশক ব্যবহার নিরুৎসাহিত করে জৈব সার, বালাইনাশকের ব্যবহারে উৎসাহিত করা, পরিবেশ আইন অনুসরণ করতে বাধ্য করা। যেমন বিল্ডিং কোড, কারখানা স্থাপনের জন্য পরিবেশ ছাড়পত্র, পরিবেশের ক্ষতি হয় কিনা তার রিপোর্ট (এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্টইআইএ) ঠিকমতো করেছে কিনা, তা যাচাই করা। সব ধরনের ময়লা (গ্রহ উৎপাদিত, মানববর্জ্য) ইত্যাদির সঠিক অপসারণ, সংরক্ষণ এবং প্রয়োজনে পুনঃউৎপাদন করা। উদাহরণস্বরূপ, যশোর সিটি করপোরেশন শহরের সব ময়লা কেন্দ্রীয় শোধনাগারে এনে তা প্রক্রিয়া করে বায়োগ্যাস কম্পোস্ট তৈরি করছে। যাদের কাছ থেকে ময়লা নেয়া হয়, তারাই আবার অর্থের বিনিময়ে জৈব সার কিনে কেন। পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো, যেমন গ্রিন বিল্ডিংয়ের পরিমাণ বাড়ানো। সম্প্রতি আরেকটি পরিবেশের প্রতি ইতিবাচক চর্চা বাংলাদেশে শুরু হয়েছে, সেটা টেকসই উন্নয়ন অর্থাৎ সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট; পরিবেশবান্ধব নির্মাণ বা গ্রিন বিল্ডিং নামে সমধিক পরিচিত।

গ্রিন বিল্ডিং কী এবং কীভাবে কাজ করে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৩৯ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ হয় ভবন থেকে। যেসব উপাদান পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর, যেমন কার্বন নিঃসরণ এবং যার ফলে ওজোন স্তর হ্রাস পেয়ে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে, সেটার বিরুদ্ধে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে গ্রিন বিল্ডিং ভূমিকা পালন করে। 

গ্রিন বিল্ডিংয়ের মূল বৈশিষ্ট্য

* জ্বালানি, পানি অন্যান্য সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার।/* নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার (যেমন সৌরবিদ্যুৎ, কোজেনারেশন ইত্যাদি)/* ভেতরের বায়ুর মানের নিশ্চয়তা।/* যেসব পণ্য ব্যবহার করা হয়, তাতে পরিবেশ মানুষের দেহের জন্য কোনো উপাদান থাকে না (যেমন ইউরিয়া ফরমালডিহাইড, ভিওসি ইত্যাদি)/* অন্যান্য বিল্ডিংয়ের চেয়ে গ্রিন বিল্ডিং বেশিদিন স্থায়ী হয় এবং পরিচর্যা ব্যয় সবচেয়ে কম।

পরিসংখ্যান

বিশ্বে নানা দেশে গ্রিন বিল্ডিংয়ের মান রয়েছে। যেমন লিড (যুক্তরাষ্ট্র), কাসবি (জাপান), ব্রিম (যুক্তরাজ্য), গ্রিন স্টার (অস্ট্রেলিয়া), গ্রিহা (ভারত) ইত্যাদি। লিডার ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন (এলইইডি) এর যাত্রা ১৯৯৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। বর্তমানে বিশ্বের ১৫০ দেশে এই মান অনুসরণ করা হয়। ইউনাইটেড স্টেটস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) এই রেটিংয়ের প্রচলন, উন্নয়ন করে। প্রতিষ্ঠানটি অলাভজনক।

বিশ্বে পর্যন্ত ৮৩ হাজার ৪৫২টি ভবন লিড সনদের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের ৬৭৬টি বিল্ডিং রয়েছে। বাংলাদেশে পর্যন্ত ১২৮টি ভবন, কারখানা সনদ লাভ করেছে, যার মোট আয়তন কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার বর্গফুট। তার মধ্যে প্লাটিনাম সনদ পেয়েছে ৩১টি ভবন, গোল্ড পেয়েছে ৮২টি ভবন, সিলভার রেটিং পেয়েছে ১৩ ভবন এবং শুধু সনদ পেয়েছে দুটি ভবন। বাংলাদেশে সনদপ্রাপ্ত অধিকাংশ ভবন কারখানা অর্থাৎ পোশাক কারখানা।


কীভাবে কাজ করে

একটি ভবনকে (নতুন বা পুরনো) সনদ পেতে হলে নির্দিষ্ট পয়েন্ট অর্জন করতে হয়। মোট পয়েন্ট ১১০। এর মধ্যে ৪০ পেলে সনদপ্রাপ্ত। ৫০ পেলে সিলভার, ৬০- গোল্ড এবং ৮০ বা তার চেয়ে বেশি পেলে প্লাটিনাম মানের সার্টিফিকেশন লাভ করে। পয়েন্টগুলো কিছু ক্যাটাগরিতে দেয়া হয়। যেমন লোকেশন ট্রান্সপোর্টেশন, সাসটেইনেবল সাইট, এনার্জি অ্যাটমোস্ফেয়ার, ওয়াটার, ম্যাটেরিয়াল অ্যান্ড রিসোর্সেস, ইনসাইড এনভায়রনমেন্টাল কোয়ালিটি, ইনোভেশন ইত্যাদি। একটি প্রজেক্ট রেজিস্ট্রেশন করার পর বিভিন্ন স্তর পার হয়ে থার্ড পার্টি কমিশনিংয়ের মাধ্যমে যাচাই করা হয় এবং চূড়ান্তভাবে সার্টিফিকেশনের জন্য আবেদন করা হয়। কর্তৃপক্ষ সব নথি যাচাই-বাছাই করে পয়েন্ট/সার্টিফিকেশন ঘোষণা করে। পরবর্তী পাঁচ বছর এই সার্টিফিকেশন বজায় থাকে। উল্লেখ্য, প্রতিটি ক্যাটাগরিতে উন্নতি দেখাতে হয়। যেমন বিদ্যুৎ বা জ্বালানিতে সাশ্রয়, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার, পানি ব্যবহারে সাশ্রয়, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ব্যবহারসহ প্রতিটি ক্যাটাগরিতে উন্নতি দেখানো বাধ্যতামূলক।

 

গোলাম রহমান: পরিবেশবান্ধব কারখানা সনদপত্র বিশেষজ্ঞ

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন