অমর একুশে গ্রন্থমেলা উদ্বোধন

আমাদের শিল্প সংস্কৃতিকে বিশ্বদরবারে পৌঁছাতে চাই —প্রধানমন্ত্রী

বণিক বার্তা ডেস্ক

শুরু হয়েছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২০। গতকাল বিকালে রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে মেলা উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের বইমেলা বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ পালন উপলক্ষে তার প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছে। খবর বাসস।

মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অমর একুশে গ্রন্থমেলার মধ্য দিয়ে আমাদের শিল্প-সংস্কৃতিকে কেবল বাংলাদেশের মধ্যেই নয়, বিশ্বদরবারে পৌঁছাতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বইমেলা এখন কেবল বই কেনাবেচার কেন্দ্র নয়, এটি বাঙালির প্রাণের মেলাও। বইমেলা উপলক্ষে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত বাঙালিরা দেশে আসে। বিদেশী নাগরিকরাও বইয়ের প্রতি বাঙালির নজিরবীহিন ভালোবাসা প্রত্যক্ষ করতে বাংলাদেশ সফর আসে।

আগের মতো বইমেলায় সময় দিতে না পারায় আক্ষেপ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ছাত্রজীবনে বইমেলায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়েছি। তবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকায় এখন আমার সে স্বাধীনতা নেই। কারণে সেটা আর এখন হয়ে ওঠে না। এই একটা দুঃখ এখনো থেকে যাচ্ছে। তার পরও আমি বলব, বইমেলা আসলেই ভালো লাগে। সময় বইমেলা উপলক্ষে এখানে আসার সুযোগ দেয়ার জন্য বাংলা একাডেমিকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচিত তৃতীয় বই আমার দেখা নয়া চীন শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। বইটি সম্পর্কে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু, তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, আতাউর রহমান, খন্দকার মোহাম্মদ ইলিয়াস প্রমুখ পাকিস্তানের একটি প্রতিনিধি দল ১৯৫২ সালে এক শান্তি সম্মেলনে অংশ নিতে চীন সফর করেছিল।

আমার দেখা নয়া চীন বইটিতে জাতির পিতা, নতুন চীনের কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষার্থী, এমনকি শিশুসহ জনগণের আর্থসামাজিক অবস্থার কথাও বর্ণনা করেছেন। বঙ্গবন্ধু শুধু চীনে পর্যটক হিসেবেই সফর করেননি, বরং তিনি বিভিন্ন বিষয় প্রত্যক্ষ করেছিলেন। বইটিতে আমরা তাঁকে পর্যটক, পর্যবেক্ষক এবং একজন সমালোচক হিসেবে পেয়েছি।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ২০১৯ সালের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ১০ কবি সাহিত্যিকের কাছে হস্তান্তর করেন। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন কবিতায় মাকিদ হায়দার, উপন্যাসে ওয়াসি আহমদ, প্রবন্ধ গবেষণায় স্বরচিস সরকার, অনুবাদে খায়রুল আলম সবুজ, নাটকে রতন সিদ্দিকী, কিশোর সাহিত্যে রহিম শাহ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাহিত্যে রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, বিজ্ঞান উপন্যাসে নাদিরা মজুমদার, ভ্রমণ সাহিত্যে ফারুক মইনউদ্দিন লোকসাহিত্যে সাইমন জাকারিয়া।

জাতীয় অধ্যাপক . আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এছাড়া সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব . আবু হেনা মোস্তফা কামাল এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশনা বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটনও এতে বক্তব্য রাখেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন