ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে অংশীদারিত্ব বাড়াতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির (আইপিএস) আওতায় বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে নিজেদের অংশীদারিত্ব বাড়াতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এজন্য এশিয়া এজের (এনহ্যান্সিং ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড গ্রোথ থ্রু এনার্জি) মাধ্যমে মার্কিন বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বিদ্যুৎ খাতে কারিগরি সহযোগিতা করতে চাইছে দেশটি। ঢাকার মার্কিন দূতাবাস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

দূতাবাস সূত্র জানায়, অর্থনীতি, সুশাসন ও নিরাপত্তাতিনটি বিষয়কে লক্ষ করে আইপিএস তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আর আইপিএসের অন্যতম অর্থনৈতিক স্তম্ভ হচ্ছে এশিয়া এজ। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, কৌশলগত দিক থেকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে এশিয়া এজের মাধ্যমে এ অঞ্চলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরো জোরদার করতে চায়। এশিয়া এজের মূল লক্ষ্য জ্বালানি প্রাপ্যতার নিশ্চয়তা, বৈচিত্র্য এবং বাণিজ্যের মাধ্যমে জ্বালানি নিরাপত্তা। বাংলাদেশের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত যেহেতু ক্রমবর্ধমান, সে কারণে মার্কিন বিনিয়োগ নিয়ে আসতে এ খাতে কারিগরি সহযোগিতা দিতে চায় দেশটি।

এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের জ্বালানি খাত বেশ প্রবৃদ্ধিশীল। এখানে মার্কিন অভিজ্ঞতার ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। কারণ বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তেল ও গ্যাস উৎপাদন করে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে তরলীকৃত গ্যাসের শীর্ষ রফতানিকারক দেশও যুক্তরাষ্ট্র। পরিবেশবান্ধব জ্বালানির ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। সব ধরনের পরিবেশবান্ধব ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। এশিয়া এজের মাধ্যমে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করতে চাই। আর যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় বাজার সম্পর্কে বলতে উদ্বুদ্ধ করতে চাই। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো সে দেশগুলোতেই যেতে চায়, যেখানে ক্রয় পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা, সবার জন্য সমান সুযোগ এবং মেধাস্বত্ব অধিকারের চর্চা রয়েছে।

জানা গেছে, এশিয়া এজ পরিকল্পনায় ৫ কোটি ডলারের বরাদ্দ রেখেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। এ অর্থ দিয়ে অংশীদার দেশগুলোয় কারিগরি সহযোগিতা দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সঞ্চালন সুবিধার বিস্তৃতি, নবায়নযোগ্য জ্বালানির সঙ্গে সমন্বয়, সর্বোচ্চ  ডেসপাচ ও লোড পূর্বাভাস, আপত্কালীন ব্যবস্থা, স্ট্যাবিলিটি, রিঅ্যাকটিভ বিদ্যুৎ কমপেনসেশন ও সঞ্চালন সামর্থ্য বিশ্লেষণ এবং সম্পদ সমন্বয় পরিকল্পনার মতো বিষয়গুলোয় অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য কারিগরি সহযোগিতা দিতে চায় দেশটি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন