ঢাবির ৬৭ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকা এবং অস্ত্র মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৬৭ শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ। তাদের মধ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁস জালিয়াতির জন্য ৬৩ জনকে এবং অস্ত্র মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার দায়ে চারজনকে বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া ছিনতাইয়ের অভিযোগে ১৩ জনকে সাময়িক সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দুজনকে ছয় মাস করে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের (ডিবি) গতকাল সকালে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বহিষ্কারের তথ্য নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রাব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, জালিয়াতদের আমরা ছাড় দেব না। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদার প্রশ্ন। কিছুদিন আগে অস্ত্র মাদকসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের চার শিক্ষার্থীকে হল প্রশাসন আজীবন বহিষ্কার করে এবং অধিকতর শাস্তির সুপারিশ করে ডিবিতে পাঠায়। তাদের কর্মকাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ হওয়ায় আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে।

প্রক্টর গোলাম রাব্বানী বলেন, গত বছরের অক্টোবরে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দুজন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক মারধরের শিকার হয়েছিলেন বলে আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছিলাম। ওই ঘটনায় দুজনকে ছয় মাস করে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া সাময়িকভাবে বহিষ্কৃত ১৩ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট তাদের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে। এর বাইরে ডিবি উপকমিটির সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় বিভিন্ন সময়ে অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে ৩১ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে একাডেমিক সাজা দেয়া হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ২৩ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। তথ্য যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন এবং পাবলিক পরীক্ষা আইনে এসব অভিযোগপত্র দেয়া হয়। ওই ৮৭ জনের মধ্যে ১৫ জনকে আগেই আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। জালিয়াতির ঘটনায় নিয়ে ঢাবির ৭৮ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হলো। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন