শেষ চারে খুলনা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধু বিপিএলে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সকে ৯২ রানে হারিয়ে প্লে অফের টিকিট পেয়েছে খুলনা টাইগার্স। আগে ব্যাট করে মুশফিকুর রহিমের বিধ্বংসী ৯৮ রানে ভর করে খুলনা করে ২১৮ রান। জবাবে কুমিল্লা থেমে যায় ১২৬ রানে।

এর আগে বিদায়ী উপহারের মধ্য দিয়েই বঙ্গবন্ধু বিপিএল শেষ করল রংপুর রেঞ্জার্স। গতকাল মিরপুরে আগেই শেষ চার নিশ্চিত করা ঢাকা প্লাটুনকে ১১ রানে হারিয়েছে তারা। এ জয়ের পরও পয়েন্ট টেবিলে অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি রংপুরের। সাত দলের মধ্যে ষষ্ঠ স্থান নিয়েই মিশন শেষ করল তারা। রংপুরের কাছে হেরে যাওয়ায় শীর্ষ দুই দলের মধ্যে থাকাটা অনিশ্চয়তার মুখে পড়ল মাশরাফি মর্তুজার ঢাকা। ১১ খেলায় তাদের সংগ্রহ ১৪ পয়েন্ট। আজ লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে ঢাকার প্রতিপক্ষ খুলনা টাইগার্স। এ ম্যাচে জিতলে অবশ্য শীর্ষ দুইয়ে জায়গা করে নিতে পারবে মাশরাফিরা। এ আসরে শীর্ষ দুইয়ে থাকার সুবিধা অনেক। কেননা শীর্ষ দুই দলের দ্বৈরথে জয়ী দল ফাইনালে উঠে যাবে। কিন্তু তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান লাভ করলে ফাইনাল খেলতে হলে প্লেঅফে জিততে হবে দুটি ম্যাচেই।

গতকাল মিরপুরের শ্লথ ও মন্থর উইকেটে জয়ের জন্য ১৫০ রানের স্বল্প টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই পথ হারায় ঢাকা। উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই বিদায় নেন ওপেনার এনামুল হক বিজয় (৫)। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান। কিন্তু এ জুটি ভাঙার পর মিডল অর্ডারে ধস নামে ঢাকার। মেহেদী আউট হন ব্যক্তিগত ২০ রানে। ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই সাজঘরমুখো হন তামিম (৩৩ বলে ৩৪)। আউট হওয়ার মিছিলে একে একে যোগ দেন মুমিনুল হক (১৮), থিসারা পেরেরা (৮), আসিফ আলী (১), আরিফুল হক (১), ফাহিম আশরাফ (৩)। এ ধসের মধ্যেও ছয় নম্বরে খেলতে নেমে কিছুটা সম্ভাবনা ধরে রেখেছিলেন শাদাব খান। কিন্তু মাশরাফি কোনো বল খেলার আগেই বিদায় নেন শাদাব (১৬ বলে ১৮)। ঢাকার স্কোরবোর্ডে তখন ১১৯/৯।

ম্যাচ জেতার জন্য ১২ বলে ঢাকার প্রয়োজন ৩১ রান। শেষ উইকেট জুটিতে মাশরাফির সঙ্গী হলেন তরুণ হাসান মাহমুদ। মুস্তাফিজুর রহমানের করা ১৮তম ওভারের প্রথম বলকে ছক্কা মেরে ম্যাচ জমিয়ে তুললেন মাশরাফি। বাকি ৫ বল থেকে রান এল মোটে দুই। জয়ের জন্য ২৩ রানের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ল ঢাকা। লুইস গ্রেগরির করা ম্যাচের শেষ ওভারে যোগ হলো ১১ রান। শেষ ৪ বলে একটি মাত্র সিঙ্গেল নিতে সমর্থ হন মাশরাফি। ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৮ রানে থামে ঢাকা।

এর আগে টস জিতে রংপুরকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান মাশরাফি। অধিনায়কের সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতাও প্রমাণ করেন ঢাকার বোলাররা। মাত্র ২৮ রানের মধ্যেই ফিরে যান রংপুর অধিনায়ক শেন ওয়াটসন (১০) ও ক্যামেরন ডেলপোর্ট (৬)। ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই বিদায় নেন মোহাম্মদ নাঈম (১৭)। এখান থেকে দলকে টেনে তোলেন গ্রেগরি ও আল আমিন। ৩২ বলে ৪৬ রান করে বিদায় নেন গ্রেগরি। পঞ্চম উইকেটে ৪১ রানের জুটি গড়ে বড় পুঁজির সম্ভাবনাও জাগিয়ে রাখেন আল আমিন (৩৫) ও জহুরুল ইসলাম (২৮)। এ দুজন পরপর ফিরে গেলে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে রংপুর। ১৪৯/৯ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের। যদিও এ স্বল্প পুঁজিকেই কাজে লাগান রংপুরের বোলাররা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

রংপুর রেঞ্জার্স: ২০ ওভারে ১৪৯/৯ (গ্রেগরি ৪৬, আল আমিন ৩৫, জহুরুল ইসলাম ২৮, পেরেরা ৩/২৩, শাদাব ২/২৫)।

ঢাকা প্লাটুন: ২০ ওভারে ১৩৮/৯ (তামিম ৩৪, মেহেদী ২০, জুনায়েদ ২/২২, তাসকিন ২/২৫, সানি ২/২৯), ফল: রংপুর ১১ রানে জয়ী, ম্যাচসেরা: গ্রেগরি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন