এমবিবিএস
কারিকুলামে মানসিক স্বাস্থ্যশিক্ষার বিষয়টি গুরুত্বসহ সংযোজন করা হবে। এক্ষেত্রে
পেশাগত পরীক্ষায় এ-সংক্রান্ত শিক্ষার প্রতিফলনের বিষয়টিও সমান
গুরুত্ব পাবে। এছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে পৃথক মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক
পরিচালকের দপ্তর স্থাপনের প্রস্তাবটি বাস্তবায়নেরও উদ্যোগ নেয়া হবে। স্বাস্থ্য ও
পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত জাতীয় মানসিক
স্বাস্থ্য কর্মকৌশলসংক্রান্ত ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব
কথা জানান।
সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য কর্মকৌশল প্রণয়ন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, ঢাকায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আবাসিক প্রতিনিধি ড. বর্ধন জুং রানা প্রমুখ।
প্র্রধান অতিথির
বক্তব্যে জাহিদ মালেক বলেন,
মানসিক স্বাস্থ্যকে
প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় অন্তর্ভুক্ত করার কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে সরকার বদ্ধপরিকর।
এরই মধ্যে বাংলাদেশ গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ ফর মেন্টাল হেলথ কার্যক্রমের জন্য মনোনীত
হয়েছে। এটা আমাদের কাজের গতি আরো বাড়িয়ে দেবে। এ সময় তিনি মুজিব বর্ষের সূচনালগ্নে
কর্মকৌশলের খসড়াটি উপস্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
কর্মকৌশল প্রণয়ন
কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন বলেন, এখানে মানসিক
স্বাস্থ্যের বিষয়টি অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে। একটি
প্রতিশ্রুতিশীল জাতি গঠনের জন্য বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজের অজান্তেই নানা
কারণে আমরা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে ফেলছি। বিষয়টি আমাদের
পাঠ্যতালিকায় স্থান দিতে পারলে বুঝতে সুবিধা হবে।
এ সময় তিনি
মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য জীবনযাপন পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনে ইতিবাচক
দৃষ্টিভঙ্গি পোষণের মাধ্যমে প্রতিশ্রুতিশীল জাতি হিসেবে বেড়ে ওঠার প্রত্যয়ে সবাইকে
কাজ করার আহ্বান জানান।
সভাপতির
বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ
বলেন, আমরা কর্মকৌশলটি মুজিব বর্ষেই চূড়ান্ত করতে চাই।
এটা তৈরি হয়ে গেলে দেশের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ইতিবাচক পরিবর্তন হবে
বলে আমার বিশ্বাস।
এ সময় তিনি
কর্মকৌশলটি বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
সভায় উপস্থিত
বক্তারা সুসংহত, আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা
নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সুশাসন ও কার্যকরী নেতৃত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া
টেকসই ও সমন্বিত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারের এ
উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান তারা।