‘বৈষম্যমূলক’ কর প্রত্যাহার চান সিমেন্ট উৎপাদকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সিমেন্টের অত্যাবশ্যকীয় কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে শতাংশ হারে অগ্রিম আয়করকে চূড়ান্ত ন্যূনতম করদায় হিসেবে বিবেচনা বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে এটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন খাতের উদ্যোক্তারা। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে দাবি জানান সিমেন্ট খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমএ) নেতারা।

অর্থনৈতিক অঞ্চলের সিমেন্ট কারখানাগুলোর ক্ষেত্রে অগ্রিম আয়করকে চূড়ান্ত করদায় হিসেবে বিবেচনা না করায় সিমেন্ট খাতের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তারা। ধরনের বৈষম্যমূলক নীতি প্রত্যাহার করা না হলে সিমেন্ট খাতে উদ্যোক্তাদের ৩০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ ব্যাংকঋণ ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন উদ্যোক্তারা।

বিসিএমএর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলমগীর কবির সিমেন্ট খাতের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে জানান, বর্তমানে সিমেন্ট খাতের সামগ্রিক উৎপাদনক্ষমতা প্রায় দশমিক কোটি টনে উন্নীত হয়েছে। চাহিদাও দাঁড়িয়েছে প্রায় দশমিক কোটি টন। উদ্যোক্তারা খাতে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। এর মধ্যে বড় অংকের ব্যাংকঋণও রয়েছে। আগে সিমেন্টের কাঁচামালের ওপর আমদানি স্তরে শতাংশ হারে অগ্রিম আয়করের বিধান ছিল। কিন্তু তা ন্যূনতম করদায় ছিল না, অর্থাৎ করযোগ্য আয়ের ওপর প্রদেয় করের সঙ্গে আমদানি স্তরে প্রদত্ত অগ্রিম আয়কর সমন্বয়ের বিধান ছিল। সমন্বয়ের পর অবশিষ্ট অতিরিক্ত আয়কর জের টানা কিংবা ফেরত দেয়া হতো। কিন্তু ২০১৯-২০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে অর্থবিলে সংশোধনী আনার মাধ্যমে সিমেন্ট উৎপাদনে ব্যবহূত কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে আদায়কৃত শতাংশ অগ্রিম আয়কর ন্যূনতম করদায় হিসেবে নিরূপণ করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রদত্ত কর চূড়ান্ত করদায় হিসেবে বিবেচনা করা হবে। অথচ অন্যান্য উৎপাদন খাতেও কাঁচামাল আমদানির বিপরীতে আমদানি স্তরে অগ্রিম আয়কর আদায় করা হলেও তা ন্যূনতম করদায় হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। দেশের ক্রমবর্ধমান অবকাঠামো উন্নয়নে সিমেন্ট খাতকে যেখানে অগ্রাধিকার দেয়া প্রয়োজন, সেখানে অযৌক্তিকভাবে শতাংশ অগ্রিম আয়করকে ন্যূনতম করদায় হিসেবে অতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, প্রতি বছরই সিমেন্ট খাতের বাজার বাড়ছে। আগে যেখানে সিমেন্ট আমদানি করতে হতো, এখন সেখানে স্থানীয় উৎপাদকরাই দেশের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হচ্ছে। কিন্তু প্রতিকূল করনীতির কারণে আমাদের ব্যবসায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। তার ওপর উৎপাদিত সিমেন্ট সরবরাহের বিপরীতে শতাংশ রফতানি স্তরে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ হারে আয়কর কর্তন করা হয়। এর ফলে খাতটি ভবিষ্যতে রুগ্ণ শিল্পে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে খাতে থাকা ব্যাংকঋণও কিন্তু ঝুঁকির মুখে পড়ে যাবে।

বিসিএমএর ভাইস প্রেসিডেন্ট মেট্রোসেম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানগুলো মুনাফা নিয়ে চাপের মধ্যে রয়েছে। ন্যূনতম শতাংশ মুনাফা মার্জিন করতে হলে একটি সিমেন্ট কোম্পানিকে মোট ৪০ শতাংশ হারে গ্রস মুনাফা করতে হবে এবং ২০ শতাংশ হারে নিট মুনাফা করতে হবে, যা অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক খাতে কখনই সম্ভব নয়। তাছাড়া কোনো কারণে কেউ তো লোকসানও করতে পারে। অথচ লোকসান করলেও কিন্তু কর দিতে হবে।

তিনি আরো জানান, আরেকটি বৈষম্যমূলক দিক হচ্ছে অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে যাদের সিমেন্ট কারখানা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু অগ্রিম আয়করকে ন্যূনতম করদায় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে না। অথচ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত কারখানাগুলোয় উৎপাদিত সিমেন্ট দেশেই বিক্রি হচ্ছে। এমন বৈষম্যমূলক আচরণ আমাদের খাদের কিনারে ঠেলে দিচ্ছে। তাই দেশের

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন