শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি একপেশে টি২০ সিরিজ শেষে এবার অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট মৌসুম শুরু হচ্ছে। আজ ব্রিসবেনের গ্যাবায় পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট শুরু। অসিদের ওপর এই হোম সিরিজে ভালো করার চাপ। ইংল্যান্ডের মাটিতে ড্র সিরিজে অ্যাশেজ ধরে রাখার পর এবার টিম পেইনদের উন্নতির তাগিদ। অন্যদিকে অ্যাওয়েতে এ সিরিজ দিয়েই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে প্রবেশ করতে যাচ্ছে পাকিস্তান, যারা অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কখনই টেস্ট সিরিজ জেতেনি, এমনকি ১৯৯৫ সালের পর কোনো টেস্ট ম্যাচও জেতা হয়নি।
অতীত রেকর্ড বিবেচনায় অস্ট্রেলিয়ার জন্য এ সিরিজটা ‘ওয়াকওভার’ পাওয়ার মতোই মনে হতে পারে অনেকের কাছে। তবে বাস্তবের চিত্রটা আসলে একটু অন্য রকমই হবে। বিশেষ করে তারুণ্যনির্ভর পাকিস্তান দল দুর্দান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারে তারকাখচিত অসিদের সঙ্গে। ১৬ বছর বয়সী নাসিম শাহর অভিষেক ঘটবে এ টেস্টে। এছাড়া পাকিস্তান একাদশে দেখা যাবে আরো দুই টিনএজ কুইক বোলার। ব্যাটিংও বেশ শক্তিশালী মনে হচ্ছে। দুটি ওয়ার্মআপ ম্যাচে রান পেয়েছেন পাকিস্তানিরা। অভিজ্ঞ আজহার আলী ও আসাদ শফিক ২০১৬-১৭ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে ভালো করেছেন বলে এবার আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামতে পারছেন। আর টি২০ দলনায়ক বাবর আজম রয়েছেন ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে।
অস্ট্রেলিয়ার জন্য সবকিছু ‘স্বাভাবিক’ হয়ে এসেছে এবং এখন বিশ্বকে শাসন করার অপেক্ষা। ১২ মাস আগে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের যে ‘অন্ধকারাচ্ছন্ন’ সময় চলছিল তা শেষে এখন অসিদের ব্যাট-বলে পুরনো শৌর্য ফিরছে। স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার ফিরে বদলে দিয়েছেন দলকে। প্রথমজন যেন ব্র্যাডম্যানের মতো ফর্মে পৌঁছেছেন, আর পরেরজন অ্যাশেজ ব্যর্থতার পর নিজেকে ধীরে ধীরে ফিরে পাচ্ছেন।
১৯৮৮ সালের পর গ্যাবায় কোনো টেস্ট হারেনি অস্ট্রেলিয়া! তবে পাকিস্তানকে আশা দেখাতে পারে আগের সফর। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে এ মাঠে ৪৯০ রানের টার্গেটে ব্যাটিং করা পাকিস্তান আসাদ শফিকের ১৩৭ রানের দুরন্ত সেঞ্চুরিতে ভর দিয়ে ৪৫০ রান পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছিল।
এমনিতেই অবিশ্বাস্য ফর্মে রয়েছেন সাবেক অধিনায়ক স্মিথ। এর ওপর তাকে প্রেরণা দিচ্ছে রেকর্ড। দ্রুততম ৭ হাজার রান করতে তার আর চাই মাত্র ২৭ রান। ওয়ালি হ্যামন্ডের রেকর্ড ভাঙতে তার এখনো ছয় ইনিংস হাতে রয়েছে। ক্রিকইনফো ও এএফপি