প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স লিমিটেডের ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘এ প্লাস’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-টু’। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিরীক্ষিত ও চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধের (জানুয়ারি-জুন) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে এআরজিইউএস ক্রেডিট রেটিং সার্ভিসেস লিমিটেড (এসিআরএসএল)।
সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) প্রিমিয়ার লিজিংয়ের সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে ৩ পয়সা, যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৪ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৪৬ পয়সা।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে প্রিমিয়ার লিজিং। এ কারণে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ শেয়ারটিকে ‘এ’ থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নামিয়ে এনেছে। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে ৫৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ১২ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। ৩১ ডিসেম্বর সম্মিলিত এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৬ টাকা ২৮ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৬ টাকা ৯৮ পয়সা।
২০০৫ সালে শেয়ারবাজারে আসা প্রিমিয়ার লিজিংয়ের অনুমোদিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১৩২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৭৩ কোটি ২১ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১৩ কোটি ২৯ লাখ ৭০ হাজার ২১১। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ উদ্যোক্তা-পরিচালক, ২৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ৪৩ দশমিক ২৭ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে এ শেয়ারের মূল্য-আয় (পিই) অনুপাত ১০ দশমিক ৯১, অনিরীক্ষিত হালনাগাদ আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ৫০।