১৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে মেঘনা পেট্রোলিয়াম

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে জ্বালানি খাতের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৫ টাকা ১১ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩৩ টাকা ৩০ পয়সা। ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩৪ টাকা ৩০ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১১৩ টাকা ২০ পয়সা।

সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ঘোষিত লভ্যাংশসহ অন্যান্য এজেন্ডা পর্যালোচনার জন্য আগামী বছরের ৪ জানুয়ারি বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের টাইগার পাসে অবস্থিত নেভি কনভেনশন সেন্টারে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১ ডিসেম্বর।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে মেঘনা পেট্রোলিয়াম। সে বছর কোম্পানিটির মোট বিক্রি হয় ১৮ হাজার ৮৫ কোটি টাকা, যা আগের হিসাব বছরে ছিল ১৫ হাজার ৪৫৬ কোটি টাকা। কর-পরবর্তী মুনাফা হয় ৩৬০ কোটি টাকা, যা আগের হিসাব বছরে ছিল ২১৯ কোটি টাকা। ইপিএস হয় ৩৩ টাকা ৩০ পয়সা। ২০১৭ হিসাব বছরে ১১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। সে বছর ইপিএস ছিল ২০ টাকা ২৮ পয়সা। জ্বালানি খাতের সরকারি প্রতিষ্ঠানটি ২০১৬ ও ২০১৫ হিসাব বছরের জন্য ১০৫ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

সম্প্রতি জ্বালানি তেল বিক্রির পাশাপাশি ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য আটশর বেশি নিবন্ধিত ফিলিং স্টেশনে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) বিক্রির উদ্যোগের অংশ হিসেবে দুটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে মেঘনা পেট্রোলিয়াম। এর একটি হলো রাজধানীর রোকেয়া সরণিতে অবস্থিত পেট্রোম্যাক্স এলপিজি লিমিটেড এবং অন্যটি বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের জয়েন্ট ভেঞ্চার বিএম এনার্জি (বিডি) লিমিটেড। চুক্তি অনুসারে, মেঘনা পেট্রোলিয়ামের নিবন্ধিত বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনে এলপিজি (অটোগ্যাস) রিফুয়েলিং স্টেশন ও কনভারশন ওয়ার্কশপ স্থাপন করবে কোম্পানি দুটি। মেঘনা পেট্রোলিয়ামের নিবন্ধিত ফিলিং স্টেশন হওয়ায় তারা প্রতি লিটার এলপিজি বিক্রির বিপরীতে পেট্রোম্যাক্স ও বিএম এনার্জির কাছ থেকে ৫০ পয়সা করে রয়্যালিটি পাবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সাবসিডিয়ারি মেঘনা পেট্রোলিয়াম বিভিন্ন ধরনের পেট্রোলিয়াম পণ্য, লুব্রিক্যান্ট, বিটুমিন, এলপিজি ও ব্যাটারি ওয়াটার বাজারজাত করে। ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, দেশব্যাপী কোম্পানিটির ৮০৬টি ফিলিং স্টেশন রয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশের বাজারে ক্যাস্ট্রল ব্র্যান্ডের লুব্রিক্যান্ট আমদানি ও বাজারজাতের জন্য এর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিপি মিডলইস্ট এলএলসির সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে মেঘনা পেট্রোলিয়াম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল মেঘনা পেট্রোলিয়াম শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ১৯৬ টাকা ২০ পয়সা। সমাপনী দর ছিল ১৯৫ টাকা ৬০ পয়সা। ২০০৭ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৪০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১০৮ কোটি ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ১১৬ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১০ কোটি ৮২ লাখ ১৬ হাজার ১০৮। এর মধ্যে সরকারের কাছে ৫৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩২ দশমিক ২০ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন