চট্টগ্রাম নগরীর একটি বাসায় আবু তাহের নামে এক ব্যক্তি ও তার চার বছর বয়সী মেয়ে ফাতেমার গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বন্দর থানার নিমতলা এলাকায় শাহ আলম ভবন থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহত আবু তাহেরের স্ত্রীসহ তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
নিহত আবু তাহের পেশায় একজন দিনমজুর এবং তার স্ত্রী হাসিনা আক্তার অন্যের বাড়িতে কাজ করতেন। তাদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আবু তাহের ও তার স্ত্রী হাসিনা আক্তারের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লাগত। গত বৃহস্পতিবারও দুজনের মধ্যে ঝগড়ার ঘটনা ঘটে। হাসিনা যে বাসায় কাজ করতেন, সেই বাড়ির লোকজন তাকে একটি লাল শাড়ি কিনে দেয়ায় এ ঝগড়া হয় বলে জানিয়েছে প্রতিবেশীরা। পুলিশের ধারণা, এ ঝগড়ার জেরে হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, বাবা ও মেয়ের গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে। এছাড়া তাহেরের মাথায় ও পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, এমন আলামত আমরা পেয়েছি। ঘরের মধ্য থেকে রক্তমাখা একটি ছুরি ও রক্তে ভেজা ওড়না উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি বলেন, নিহতের স্ত্রী হাসিনা আক্তার বেশ কয়েকটি বাসায় বুয়ার কাজ করেন। গতকাল সকাল ৮টার আগে হাসিনা আক্তার কাজের জন্য বেরিয়ে যান। কাজ শেষে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফিরে এসে বাসার দরজা খুলে স্বামীর মরদেহ বাসার মেঝেতে ও মেয়ের মরদেহ খাটের ওপর পড়ে থাকতে দেখে চিত্কার-চেঁচামেচি শুরু করলে স্থানীয়রা জড়ো হয়। পরে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং মরদেহ দুটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
নিমতলা এলাকার শাহ আলমের পুরনো পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় ছোট একটি কক্ষে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে থাকতেন আবু তাহের। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, কক্ষের ভেতর একটি খাট। খাটের এক পাশে রক্তের দাগ আছে। মেঝেতে জমে আছে রক্ত। কক্ষের সুইচ বোর্ড ও বসার টুলেও রক্তের দাগ দেখা গেছে।
মহানগর পুলিশের বন্দর 
