২০১৭ সালের নভেম্বরে ভোজ্যতেলের
পরিবর্তে নারকেল তেল উৎপাদনে কারখানা স্থাপনের ঘোষণা দেয় রহিমা ফুড করপোরেশনের
পরিচালনা পর্ষদ। চলতি বছরের এপ্রিলে নারকেল তেল উৎপাদনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে
লেসিথিন উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেয় কোম্পানিটি। নতুন করে আবারো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন
করেছে কোম্পানিটির পর্ষদ। গতকাল চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দেয়া
ঘোষণায় কোম্পানিটি জানায়, তারা লেসিথিন ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্ট স্থাপন থেকে সরে এসে আবারো
কোকোনাট অয়েল ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
একসময় ভেজিটেবল অয়েল উৎপাদন করলেও পরবর্তীতে
এ ব্যবসা বন্ধ করে দেয় চট্টগ্রামভিত্তিক কোম্পানি রহিমা ফুড। ২০১৩ সালের পর থেকে
টানা লোকসান করে যাওয়া কোম্পানিটির উদ্যোক্তা অংশের শেয়ার গত বছর স্থানীয়
শিল্পগোষ্ঠী সিটি গ্রুপের কাছে বিক্রি হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, গত
বছরের ১৮ জুলাই দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরও পরিচালন কার্যক্রম চালুর কোনো সম্ভাবনা না
থাকায় রহিমা ফুড করপোরেশন ও মডার্ন ডায়িং অ্যান্ড স্ক্রিন প্রিন্টিং লিমিটেডকে
তালিকাচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসই পর্ষদ। অন্যদিকে দেশের আরেক শেয়ারবাজার
সিএসই কোম্পানিটিকে তালিকাচ্যুতির বদলে এর লেনদেন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ
করে।
লিস্টিং রেগুলেশন অনুসারে
বিনিয়োগকারীদের পাঁচ বছর ধরে লভ্যাংশ না দেয়া, টানা তিন বছর বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) না
করা, ঐচ্ছিকভাবে
কোম্পানির অবসায়ন কিংবা টানা তিন বছর উৎপাদন বন্ধ থাকা, টানা
তিন বছর লিস্টিং ফিসহ অন্যান্য ফি প্রদান না করা এবং লিস্টিং রেগুলেশন কিংবা অন্য
যেকোনো সিকিউরিটিজ আইন পরিপালনে ব্যত্যয়ের কারণে কমিশন ও স্টক এক্সচেঞ্জ যেকোনো
কোম্পানিকে পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত করতে পারবে।