চারপাশে ছড়ানো পোড়া মবিল। কোথাও পুরনো টায়ারের স্তূপ। কোথাও গাড়ির অকেজো যন্ত্র। গোটা প্রাঙ্গণে ময়লা-আবর্জনা। সেসবে মাছির আবাস। ছোট-বড় গর্তে জমা পানি প্রাণঘাতী মশার প্রজননক্ষেত্র। এসবের মধ্যেই গড়ে উঠেছে হোটেলসহ নানা পণ্যের দোকান। ঢাকার ব্যস্ততম বাস টার্মিনাল গাবতলীর চিত্র এটি। এ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্য দিয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করছে লক্ষাধিক মানুষ।
গাবতলী টার্মিনালের বাস ধারণক্ষমতা সর্বোচ্চ ৫০০টি। যদিও এখানে প্রতিদিন বাস রাখা হয় এক হাজারের বেশি। এ টার্মিনাল ব্যবহার করছে পাঁচ হাজারের বেশি বাস। বাংলাদেশ বাস-ট্রাক মালিক সমিতির কর্মকর্তারা বলছেন, ঢাকায় সবচেয়ে বেশি যাত্রী সমাগম ঘটে গাবতলী টার্মিনালে। কোনো কোনো দিন যাত্রীর সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে যায়।
মূলত ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী ও পরিবহনের কারণেই দিন দিন টার্মিনালের পরিবেশ খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন তারা।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের পাশাপাশি যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়িয়ে তুলছে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার অভাব। পর্যাপ্ত টয়লেট সুবিধা নেই গাবতলী টার্মিনালে। যে ক’টি পাবলিক টয়লেট রয়েছে, সেগুলোও ভীষণ নোংরা। টার্মিনালের ভেতরে যাত্রীদের বসার জন্য স্টিলের কয়েকটি স্থায়ী বেঞ্চ বসানো হয়েছে। তবে যাত্রী সংখ্যার তুলনায় তা নেহাতই যৎসামান্য। অনেক বেঞ্চ আবার ভেঙে বসার অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। টিকিট কাটার পর তাই অনেক যাত্রীকেই বাধ্য হয়ে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। টার্মিনালের নোংরা পরিবেশে অতিষ্ঠ হয়ে অনেক যাত্রী অপেক্ষা করে রাস্তা বা পাশের ফুটপাতে দাঁড়িয়ে।
টার্মিনালের এ দুর্দশায় সবচেয়ে বেশি ভুগতে হয় পরিবহন শ্রমিকদের। এদের অনেকেরই দিন বা রাতের বড় একটি অংশ কাটাতে হয় এখানে। গোটা টার্মিনালে তাদের জন্য কোনো বিশ্রামাগার তো নেই-ই, এমনকি শৌচাগারের ব্যবস্থাও নেই। গোসলও করতে হয় পাবলিক টয়লেটে পয়সা দিয়ে। অনেকেই আবার বাসে রক্ষিত বালতিতে পানি সংগ্রহ করে টার্মিনালের ভেতরেই গোসল সেরে নেন। বিশ্রামও নিতে হয় বাসের ভেতর।
সরেজমিন টার্মিনালের অবস্থা দেখতে গিয়ে কথা হয় দিগন্ত পরিহনের চালক হোসেন শেখের সঙ্গে। রাতের ট্রিপ শেষ করে গতকাল দুপুরে বাসের সিটে কোনোভাবে শোয়ার ব্যবস্থা করে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তিনি। বাসের ভেতরে এভাবে বিশ্রাম নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বণিক বার্তাকে তিনি জানান, পাবনা থেকে রাতের ট্রিপ নিয়ে ভোরে গাবতলী টার্মিনালে পৌঁছেছেন। পরের ট্রিপ আবার রাতে। মাঝে প্রায় ১২ ঘণ্টা সময়। হোটেলে ব??