ব্রিফিংয়ে জ্বালানি উপদেষ্টা

২০২৫ সালের মধ্যে ৩৫টি কূপ খনন করা হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগৃহীত

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ‘২০২৫ সাল পর্যন্ত ৫০টি কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে। এরই মধ্যে ১৫টি খনন করা হয়েছে এবং সেখান থেকে প্রতিদিন ১৭৬ মিলিয়ন ঘনফুট উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মিলেছে। তবে পাইপলাইন না থাকায় জাতীয় গ্রিডে এখন ৭৬ মিলিয়ন ঘনফুট দেয়া হচ্ছে।’

গতকাল মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। 

জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘৫০ কূপ খনন প্রকল্পের আওতায় আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে আরো ৩৫টি কূপ খনন করা হবে। এর মধ্যে ১১টি কূপ খনন করবে বাপেক্স, বাকি ২৪টি উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে কাজ দেয়া হবে। এখন থেকে জিটুজিও করা হবে না, প্রতিযোগিতা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।’

চলমান জ্বালানি সংকট নিরসনে গ্যাসের অনুসন্ধান কার্যক্রম জোরদারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। 

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘গ্যাসের রিজার্ভ কমে আসার কারণে জ্বালানি সংকট তৈরি হচ্ছে। ফলে ব্যয়বহুল এলএনজি আমদানি করতে বাধ্য হচ্ছে সরকার। তাই বর্তমান সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্যাসের অনুসন্ধান কার্যক্রম আরো জোরদার করার।’ গভীর সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধানে সাতটি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে তিনি জানান।

ফাওজুল কবির বলেন, ‘২০২৮ সালের মধ্যে আরো ১০০টি কূপ খনন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। স্থলভাগের ৬৯টি কূপে অনুসন্ধান কার্যক্রম চালানো হবে। এর মধ্যে ৩৩টি কূপে অনুসন্ধান করবে বাপেক্স। আরো ১০টি রিগ ভাড়ার মাধ্যমে অনুসন্ধান করা হবে। বাকি ২৬টি উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে করা হবে। ফলে গ্যাস সংকট অনেকটাই কেটে যাবে।’ এখন থেকে কোনো প্রকল্পের সময় ও অর্থ আর বাড়ানো হবে না বলে জানান তিনি।

এ সময় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব মো. নূরুল আলম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকারসহ বাপেক্স, সিলেট গ্যাস ফিল্ড ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন