ছবি : সংগৃহীত মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতো সেরি আনোয়ার ইব্রাহিম আজ ঢাকায় আসছেন। তার সঙ্গে থাকবে ৫৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, দুই দেশের আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও জনশক্তির বিষয়টি অগ্রাধিকার পাবে। এর বাইরে শিক্ষা, প্রযুক্তি, মানবসম্পদ উন্নয়ন, উচ্চ শিক্ষা, যোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং প্রতিরক্ষা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করবেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রায় এক দশক পর মালয়েশিয়ার কোনো প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে আসছেন। এছাড়া অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বে আসার পর এটিই হবে প্রথম কোনো সরকারপ্রধানের বাংলাদেশ সফর। ফলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি দলে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বাণিজ্য ও বিনিয়োগমন্ত্রী, পরিবহন উপমন্ত্রী, ধর্মবিষয়ক উপমন্ত্রী, দুজন সংসদ সদস্য এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পদস্থ কয়েকজন কর্মকর্তাও রয়েছেন।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সফর প্রসঙ্গে গত মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেয়ার পর ড. ইউনূসকে গত ১৩ আগস্ট ফোন করে স্বাগত জানান দাতো সেরি আনোয়ার ইব্রাহিম। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। আলাপকালে প্রধান উপদেষ্টা মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। এছাড়া কূটনৈতিক সূত্রে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের জন্য প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে আমন্ত্রণপত্রও পাঠানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে আসছেন।’
তৌহিদ হোসেন জানান, ২০২৫ সালে আসিয়ান জোটে সভাপতির দায়িত্ব নেবে মালয়েশিয়া। ফলে আসিয়ান জোটে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে মালয়েশিয়ার সক্রিয় সহযোগিতার আহ্বান জানানো হবে। এছাড়া আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে আসিয়ানে বাংলাদেশের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার বিষয়টিও বিশেষভাবে তুলে ধরা হবে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ঢাকা পৌঁছলে তাকে রাষ্ট্রীয় প্রটোকল অনুযায়ী উষ্ণ সংবর্ধনা দেয়া হবে। তার সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গভীরতা ও স্থায়ী বন্ধুত্বের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে পরিগণিত হবে বলে মনে করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
