বিরতি প্রয়োজন ফ্লোরেন্স পিউর

ফিচার ডেস্ক

ছবি: ভোগ

অভিনেত্রী ফ্লোরেন্স পিউ একের পর এক সিনেমায় ব্যস্ত। তিনি নিজেকে কাজপাগল মনে করেন। কিন্তু এর মধ্যেও তার প্রয়োজন হয় ছুটির। সম্প্রতি ব্রিটিশ ভোগকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন কথাই বলেছেন। এ গ্রীষ্মে তিনি কাজ থেকে বিরতি নেয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন। 

পিউ বলেন, ‘ক্যারিয়ার শুরু করার পর এই প্রথম আমি বিরতির কথা ভাবলাম। আমার আসলে প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। আমি কাজপাগল, কাজ নিয়েই থাকি। কিন্তু দেখতে পাচ্ছি স্পষ্ট, ক্লান্ত হয়ে পড়ছি। একদিন ঘুম থেকে জেগে মনে হলো আমার পুরনো জীবনকে মিস করছি। ক্যারিয়ার তো থাকবে, কিন্তু জীবনটা কোথায়?’

ফ্লোরেন্স টানা কাজ করেছেন অনেকগুলো সিনেমায়। এর মধ্যে ছিল ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ওপেনহাইমার’, দেনি ভিলেনোভের ‘ডুন’, মার্ভেলের ‘থান্ডারবোল্টস’ ও রোমান্টিক ড্রামা ‘উই লিভ ইন টাইম’। এর পরই বিরতির প্রয়োজন বোধ করেন পিউ। অ্যান্ড্রু গারফিল্ডের সঙ্গে ফ্লোরেন্স অভিনয় করেছেন ‘উই লিভ ইন টাইম’ সিনেমায়। টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখা গেছে সিনেমাটি। এটি আগামী অক্টোবরে আসবে প্রেক্ষাগৃহে। সিনেমায় ফ্লোরেন্সের চরিত্র একজন রাধুনীর। এ সিনেমার বিশেষত্ব হলো গল্প সরলরৈখিক গতিতে এগোয় না। সিনেমার জন্যই ফ্লোরেন্সকে একটা চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছে। ক্যামেরার সামনে তিনি হাজির হয়েছেন টাক মাথায়। পিউ বলেন, ‘ক্যামেরায় একজন অভিনেত্রীকে টাক মাথায় দেখা এক রকম বিষয়। কিন্তু ক্যামেরায় তার নিজের মাথা নিজে কামাতে দেখা আরেক রকম। চরিত্রের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ। এমন চরিত্রে অভিনয় করাও সম্মানের, কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন আলাদা মানসিক প্রস্তুতি।’

ফ্লোরেন্স তার সব চরিত্রেই সবসময় নিজের পুরোটা দিয়ে অভিনয় করেন। প্রস্তুতি নেন অনেক দিন ধরে। একই ঘটনা ঘটেছিল ওপেনহাইমারের ক্ষেত্রেও। এমন করে দিনের পর দিন চরিত্রের সঙ্গে বাস করা, চরিত্র হয়ে গড়ে ওঠা আর তা ক্যামেরার সামনে করা ক্লান্তিকর। আবার একসঙ্গে অনেক সিনেমা করলে ক্লান্তি আরো বাড়ে। সে কারণেই বিরতির কথা ভাবতে বাধ্য হন ফ্লোরেন্স।

এত কিছুর মধ্যেও তার হাতে আছে আরো তিনটি সিনেমা। এগুলো হলো থান্ডারবোল্টস, ইস্ট অব ইডেন ও দ্য প্যাক।

সূত্র: ভ্যারাইটি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন