সংগৃহীত নাটোরে বিএনপির সমাবেশে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগকে দায়ী করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি, হামলায় হামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলসহ সাত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চুকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আজ (৩ জুলাই) সকাল সাড়ে নয়টায় জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশ আয়োজন করা হয়। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলসহ দলের জেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে অতর্কিত হামলা চালায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চুকে তারা কুপিয়ে জখম করে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রধান অতিথি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলও আহত হয়েছেন।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ অভিযোগ করেন, পুলিশবেষ্টিত সমাবেশের মধ্যেই যুবলীগের রাশেদুল ইসলাম কোয়েল ও সেলিমের নেতৃত্বে হামলা হয়। সমাবেশ ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে দুপক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। হামলায় বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণও ঘটায় তারা। পরে পুলিশ লাঠি চার্জ করে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সমাবেশে হামলার সময় পুলিশ নির্লিপ্ত ছিল বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ফরহাদ হোসেন দেওয়ান শাহীন বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ওপর কোয়েল, সেলিম বাহিনী হামলা চালিয়েছে। তারা জেলা বিএনপির আহবায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, চপলসহ ৭ জনকে নেতা কর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছে। আমরা এর বিচার চাই।’
এ বিষয়ে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন, যারা হামলা করেছে, তারা আওয়ামী লীগের কেউ নন, তারা অতি উৎসাহী, দলে তাদের কোনো স্থান নেই। আমরা এজন্য পুলিশকে দায়ী করব, যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিচার এবং গ্রেফতারের দাবি করছি।’
নাটোর সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, বর্তমানে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। থানায় কেউ অভিযোগ জানায়নি।
