গাইবান্ধায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা

ছবি : বণিক বার্তা

কয়েকদিনের ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধায় সব নদ-নদীর পানি বেড়ে তলিয়ে গেছে শতাধিক গ্রাম। এসব এলাকায় বসবাসরত প্রায় লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

গাইবান্ধা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি অব‍্যাহত রয়েছে। তবে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

শুক্রবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় পাউবো এর দেয়া তথ্যমতে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, শহরের ঘাঘট নদীর পানি নিউ ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। করতোয়া নদীর পানি চকরহিমাপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৩৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার, শহরের ঘাঘট নদীর পানি নিউ ব্রিজ পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার, করতোয়া নদীর পানি চকরহিমাপুর পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়েছে।

জেলার চারটি উপজেলার ১৬৫টি চর এবং বিশেষ করে সদর উপজেলার কামারজানি, মোল্লারচর, গিদারি, ঘাগোয়া ও ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ি, কঞ্চিপাড়া, উড়িয়া, ফুলছড়ি, ফজলুপুর, গজারিয়া, সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী, হলদিয়া, ঘুড়িদহ, জুমারবাড়ী এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, কাপাসিয়া ও হরিপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে বন‍্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

এসব এলাকায় বন‍্যার পানিতে তলিয়ে গেছে আমন ধানের বীজতলা, পাটসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ। অনেক স্কুলের মাঠে পানি ওঠায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক কাজী নাহীদ রসুল বণিক বার্তাকে বলেন, জেলার ৪টি উপজেলার বন‍্যা কবলিতদের জন্য ৩ হাজার ৫০ প‍্যাকেট শুকনো খাবার, ১৬৫ মেট্রিক টন জিআর চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ত্রাণ বিতরণ ও উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য নৌকা ও স্পিডবোট প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বণিক বার্তাকে বলেন, নদী ভাঙন প্রতিরোধসহ আমাদের সব কার্যক্রম অব‍্যাহত রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন