![](https://bonikbarta.net/uploads/news_image/news_390246_1.jpg?t=1720439868)
কিয়ার স্টারমারের বয়স ৬১। পেশায় ছিলেন আইনজীবী। ৫১ বছর বয়সে তিনি
রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে লেবার পার্টিতে যোগ দেন। হলবর্ন এবং সেন্ট
প্যানক্রাস আসনে মনোনয়ন পান। ২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে ১৭ হাজার ৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী
হন। একই আসন থেকে এবারও তিনি বিজয়ী হয়েছেন। আর তার দল লেবার পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা
পেয়েছে। রাজনীতিতে প্রবেশের ১০ বছরের মধ্যে তিনি হতে যাচ্ছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী। খবর বিবিসি।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) যুক্তরাজ্যের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।
আজ (৫ জুলাই) বাংলাদেশ সময় বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ৪১২টি আসনে জয় পেয়েছে দলটি। বড় ব্যবধান
গড়ে তুলেছে কনজারভেটিভ পার্টির সঙ্গে। এ পার্টি পেয়েছে ১২১টি আসন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায়
যুক্তরাজ্যের পরবর্তী সরকার গঠন করতে যাচ্ছে লেবার পার্টি। আর প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন
এই পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার। জয়ী হওয়ায় এরই মধ্যে বিশ্ব নেতারা অভিনন্দন জানানো
শুরু করেছেন তাকে।
কিয়ার স্টারমার মূলত ব্যারিস্টারি পড়াশোনা করেন। তিনি মানবাধিকারবিষয়ক
আইনে বিশেষজ্ঞ ছিলেন। এ শ্রমিক নেতা প্রায়ই নিজেকে ‘শ্রমিক শ্রেণী থেকে উঠে আসা’ বলে
বর্ণনা করেন। তার বাবা ছিলেন কারখানা শ্রমিক এবং তার মা নার্স হিসেবে কাজ করতেন। তার
মা বিরল স্টিলস ডিজিজের রোগী ছিলেন।
কিয়ার স্টারমার রিগেট গ্রামার স্কুলে পড়াশোনা করেন। এখানে ভর্তি হওয়ার
দুই বছর পর এটি বেসরকারি স্কুলে পরিণত হয়। ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত তার পড়াশোনার খরচ দিত
স্থানীয় সরকার। তিনি এমন একটি পরিবারে বড় হয়েছেন, যেখান থেকে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। লিডস এবং পরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন নিয়ে পড়েন। ১৯৮৭
সালে তিনি ব্যারিস্টার হন। মানবাধিকার আইনে বিশেষত্ব অর্জন করেন। মৃত্যুদণ্ড বন্ধ করতে
তিনি বিভিন্ন দেশে মানবাধিকার কর্মী হিসেবে কাজ করেন। এজন্য গিয়েছেন ক্যারিবিয়ান এবং
আফ্রিকা অঞ্চলে। ২০০৮ সালে তাকে পাবলিক প্রসিকিউশনের পরিচালক হিসেবে মনোনীত করা হয়।
এ পদটি ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের সবচেয়ে সিনিয়র ফৌজদারি প্রসিকিউটর।
কিয়ার স্টারমার ২০১৫ সালে এমপি হওয়ার পর প্রাক্তন লেবার পার্টির নেতা
জেরেমি করবিনের পরামর্শক দলে তার ছায়া ব্রেক্সিট সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করেন। ওই সময়
তিনি বলেছিলেন, দ্বিতীয় ইইউ গণভোট আয়োজনের বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।
২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টির পরাজয়ের পর স্যার কিয়ার
স্টারমার দলের শীর্ষপদের জন্য প্রার্থী হন। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি ২০২০ সালের এপ্রিলে
ওই পদে বিজয়ী হন। বিজয়ী ভাষণে তিনি লেবার পার্টিকে ‘আত্মবিশ্বাস এবং আশার সঙ্গে একটি
নতুন যুগের নেতৃত্ব’ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
এবারের নির্বাচনে বিজয়ের পেছনে তার প্রতিশ্রুত স্বাস্থ্যসেবা (প্রতি
সপ্তাহে ৪০ হাজার অ্যাপয়নমেন্ট), অভিবাসন (বর্ডার সিকিউরিটি কমান্ড গঠন), আবাসন (১৫
লাখ নতুন বাড়ি তৈরি) ও শিক্ষা (৬ হাজার ৫০০ শিক্ষক নিয়োগ) নীতি প্রভাব বিস্তার করেছে।