![](https://bonikbarta.net/uploads/news_image/news_389477_1.jpg?t=1719866885)
![Default Image](https://bonikbarta.net/uploads/Sports.jpg)
বিশ্বকাপের
‘চোকার্স’ তকমাটা স্থায়ীভাবে গায়ে সেঁটে যাওয়া প্রোটিয়াদের অবশেষে অপবাদ থেকে মুক্তি
পাওয়ার সুযোগ এসেছিল। যদিও সুবর্ণ সুযোগ হারাল তারা। আরেকবার ব্যর্থ হলো। আবারো তীরে
এসে তরী ডুবল। শনিবার রাতে বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে
ভারতের কাছে ৭ রানে হেরে প্রথমবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ হারাল তারা।
৬ উইকেট
হাতে নিয়ে শেষ ৩০ বলে ৩০ রান এবং ২৪ বলে ২৬ রান করতে পারেনি তারা। ফলে প্রথমবার বিশ্বকাপও
জেতা হলো না তাদের। অবিশ্বাস্য কামব্যাকে ২০০৭ সালের পর আবারো টি-টোয়েন্টির বিশ্বচ্যাম্পিয়ন
ভারত।
ফাইনালে
টস জিতে ব্যাটিং নেয়া ভারত প্রথম দুই ওভারেই দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে। সেই বিপদ
থেকে দলকে উদ্ধার করেন বিরাট কোহলি ও অক্ষর প্যাটেল। দুজনের ব্যাটে ভর করে ২০ ওভারে
৭ উইকেটে ১৭৬ রান সংগ্রহ করে ভারত। বলাবাহুল্য, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে এটাই
সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। হারের শঙ্কা তৈরি হলেও রেকর্ড সংগ্রহ নিয়ে শেষ পর্যন্ত ভারতই
জিতল। রান তাড়া করতে নেমে স্নায়ুক্ষয়ী উত্তেজনা শেষে ৮ উইকেটে ১৬৯ রান তুলতে সমর্থ
হয় প্রোটিয়ারা।
১৭৭
রান তাড়া করতে নেমে ভারতের মতোই শুরুতে বিপর্যয়ে পড়ে প্রোটিয়ারাও। ১২ রানের মধ্যে তারা
হারিয়ে ফেলে রিজা হেনড্রিক্স ও এইডেন মার্করামকে। তখন কোহলির মতোই দলকে টানেন ওপেনার
কুইন্টন ডি কক। যদিও তিনি ইনিংসটি বড় করতে পারেননি। ১২তম ওভারের তৃতীয় বলে থার্ডম্যান
অঞ্চল দিয়ে অর্শদীপকে বাউন্ডারি মারেন ডি কক। সেই একই জায়গা দিয়ে পরের বলেও বাউন্ডারি
হাঁকাতে গেলে তিনি ধরা পড়েন কুলদীপ যাদবের হাতে (১০৬/৪)। দলের তখন ৪৫ বলে প্রয়োজন ৭১
রান। ৩১ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন ডি কক।
আউট
হওয়ার আগে ট্রিস্টান স্টাবসকে নিয়ে ৩৮ বলে ৫৮ ও হেনরিখ ক্লাসেনকে নিয়ে ২৩ বলে ৩৬ রানের দুটি জুটি গড়ে ডি
ককই প্রোটিয়াদের জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখেন। যদিও দায়িত্বটা সম্পন্ন না করেই তিনি সাজঘরের
পথ ধরেন।
এরপর
২২ বলে ৪৫ রান যোগ করে ডেভিড মিলার ও ক্লাসেন দলের জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখেন। যদিও শেষ
দিকে আবার চাপের মুখে ভেঙে পড়ে তারা। ১৭তম ওভারের প্রথম বলে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে
উইকেটকিপার ঋষভ পন্তকে ক্যাচ দেন ক্লাসেন। ২৭ বলে ২ চার ও ৫ ছক্কায় ৫২ রান করে সাজঘরে
ফেরেন তিনি। তার আউটে আকস্মিকই বিপদে পড়ে প্রোটিয়ারা। সেখান থেকে আর বের হতে পারেনি
তারা।
১৬ ওভারশেষে
স্কোর ছিল ১৫১/৪। প্রোটিয়াদের বিশ্বকাপ জিততে ২৪ বলে প্রয়োজন ২৬ রান। ১৭তম ওভারে হার্দিক
পান্ডিয়া ৪ রান দিয়ে ১ উইকেট (ক্লাসেন) ও ১৮তম ওভারে বুমরাহ ২ রান দিয়ে ১ উইকেট (ইয়ানসেন)
তুলে নেন। ১৯তম ওভারে অর্শদীপ সিং-ও দুর্দান্ত বোলিং করেন মাত্র ৪ রান দিলেন। এই তিনটি
ওভারই ম্যাচের ফল নির্ধারণ করে দিল।
তিনটি
অসাধারণ ওভারশেষে শেষ ৬ বলে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন পড়ে ১৬ রান। ২০তম ওভারের প্রথম
বলে ডেভিড মিলার সীমানার কাছে সূর্যকুমার যাদবের অবিশ্বাস্য ক্যাচে পরিণত হলে প্রোটিয়াদের
আশার সূর্যও ডুবে যায়।