চাহিদার ৩৮ শতাংশ বিদ্যুৎ ঘাটতি সাতক্ষীরায়

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

সাতক্ষীরায় লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়েছে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে শিল্পপ্রতিষ্ঠানে। তিনদিন ধরে লোডশেডিংয়ে বিসিক শিল্পনগরীর অধিকাংশ কারখানায় উৎপাদন কমে গেছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। পল্লী বিদ্যুতের তথ্য বলছে, জেলায় বিদ্যুৎ চাহিদা রয়েছে ১১০ মেগাওয়াট। সেখানে পাওয়া যাচ্ছে ৬৮ মেগওয়াট। ঘাটতি রয়েছে ৩৮ শতাংশের বেশি।

সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম মঞ্জুরুল আকতার জানান, জেলায় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক রয়েছে ৬ লাখ ২৪ হাজার। বিদ্যুতের চাহিদা ১১০ মেগাওয়াট। পাওয়া যাচ্ছে ৬৮ মেগওয়াট। প্রতিদিন ঘাটতি থাকছে ৪২ মেগাওয়াট। এ কারণে গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।

পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুনুর রহমান জানান, তার জোনে ৫৫ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ চাহিদা রয়েছে ১৯ মেগাওয়াট। পাওয়া যাচ্ছে ১৫ মেগওয়াট। ঘাটতি থাকছে ৪ মেগাওয়াট। শহরে ১১টি ফিডার রয়েছে, যা থেকে পর্যায়ক্রমে লোডশেডিং ওঠামানা করা হয়। তবে কবে নাগাদ বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি।

এদিকে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে শিল্পপ্রতিষ্ঠানে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান সাতক্ষীরা বিসিক শিল্পনগরীর উপব্যবস্থাপক গৌরব দাশ। তিনি বলেন, ‘বিসিকে উৎপাদনশীল ৪২টি কারখানা রয়েছে। তিনদিন ধরে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে এসব শিল্পকারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।’

সাতক্ষীরা শহরের সরকারপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল বারি জানান, গরমের মধ্যে তীব্র লোডশেডিং শুরু হওয়ায় সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ৩০ জুন এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এখন যদি শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো পড়াশোনা করতে না পারে, তাহলে পরীক্ষা ভালো হবে না।

পার্শ্ববর্তী কাটিয়া এলাকার বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জ্বল, আসাদুজ্জামান ও শিক্ষক হাবিবুর রহমান জানান, অসহনীয় গরমের মধ্যে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। গরমে রাতে মানুষ রাস্তায় হেঁটে বেড়ায়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন