![](https://bonikbarta.net/uploads/news_image/news_387349_1.jpg?t=1722036975)
নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটিতে (এনএসইউ) ‘কারাগার থেকে কারামুক্তি: বঙ্গবন্ধু থেকে
শেখ হাসিনা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১১ জুন) নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এবং বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম এ
সেমিনারের আয়োজন করে। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অডি-৮০১ এ সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিক্ষা ও
সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, মুখ্য আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ
প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক মীজানুর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য নাজমা আক্তার, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট
ফোরামের সহ-সভাপতি অধ্যাপক রাশিদ আসকারী এবং দৈনিক বাংলা ও নিউজবাংলা ২৪-এর নির্বাহী
পরিচালক ও বঙ্গবন্ধু গবেষক মো. আফিজুর রহমান।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের
সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির
উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম।
স্বাগত বক্তব্যে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির কোষাধ্যক্ষ ও উপ-উপাচার্য
(ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আব্দুর রব খান বলেন, একজন সাধারণ বন্দিকেও যে অবস্থায় রাখা যায়
না। সে অবস্থায় বন্দি রাখা হয় দেশের সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রীকে। যিনি তখন আওয়ামী লীগের
মতো বৃহৎ একটি রাজনৈতিক দলের প্রধানও বটে। এমন সংকট এ দেশে আর না আসুক।
মূল প্রবন্ধ পাঠে অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাস বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কারামুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসের নতুন অধ্যায় সূচিত হয়। এটি দেশের অগ্রযাত্রার প্রথম ধাপ ছিল।
মুখ্য আলোচক অধ্যাপক মীজানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় অবদান ছিল ক্যান্টনমেন্ট থেকে রাজনীতিকে রাজনীতিবিদদের হাতে
ফিরিয়ে দেয়া। দেশবিরোধী সব অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে, তাহলেই
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে উঠবে।
বিশেষ অতিথি নাজমা আক্তার বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যেমন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক
ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছিল, তেমন ষড়যন্ত্র শেখ হাসিনাকে নিয়েও হচ্ছে। তাকে
২১ বার হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। অথচ তিনি দেশের মানুষের জন্য সারাটা জীবন ব্যয় করেছেন,
মিথ্যা মামলায় জেল খেটেছেন।
অধ্যাপক রাশিদ আসকারী বলেন, কারাবাসের ফলে শেখ হাসিনা পুড়ে পুড়ে খাঁটি
হয়েছেন, বাবার দীর্ঘ কারাবাসের যন্ত্রণা অনুধাবন করেছেন। কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে
বসেই তিনি দেশের উন্নয়নের পরবর্তী পরিকল্পনা করেছিলেন।
মো. আফিজুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ’৭৫ এর পর যেমন অপপ্রচার
হয়েছিল, তেমনি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে নিয়েও অপপ্রচার চালানো হয়। কিন্তু আমাদের
সত্যগুলো জানতে হবে, সবার সামনে প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে হবে।
ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ব্রিটিশরা বলেছিল এ উপমহাদেশে
কাহিনী আছে, উপাখ্যান আছে, কিন্তু ইতিহাস নেই। আমরা এখন বলতে পারি আমাদের ইতিহাস আছে।
গৌরবের ইতিহাস, রাষ্ট্র গঠনের ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু বাঙালিকে সে জাতিরাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন।
অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বলেন, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে ধর্মনিরপেক্ষ ও সহনশীল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করছে। তিনি অতিথিদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির মিডিয়া, কমিউনিকেশন
অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষক ও জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক আসিফ বিন আলী। বিজ্ঞপ্তি