ইএবির প্রতিক্রিয়া

বাজেটে রফতানি খাতের প্রস্তাবনার প্রতিফলন ঘটেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

রফতানি খাতের প্রস্তাবের প্রতিফলন প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছে এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি) গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় মন্তব্য করেন ইএবি সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী।

ইএবি সভাপতি বলেন, ‘বাজেটে শিক্ষা দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, কৃষি, বিদ্যুৎ জ্বালানি, অবকাঠামো সামাজিক নিরাপত্তা খাতকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। এগুলো বাজেটের ইতিবাচক দিক। তবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে আসায় আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের প্রধান খাত, রফতানি খাতের প্রস্তাবের প্রতিফলন প্রস্তাবিত বাজেটে পাওয়া যায়নি।

আব্দুস সালাম মুর্শেদী জানান, প্রস্তাবিত বাজেটে যে বিষয়গুলো বিনিয়োগ কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য সহায়ক হবে না বলে ইএবি মনে করছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে  স্টিল বিল্ডিং তৈরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের নির্মাণসামগ্রীর ওপর আমদানি শুল্ক শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব। অর্থনৈতিক অঞ্চলে অবস্থিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মূলধনি যন্ত্রাংশ নির্মাণসামগ্রীর আমদানি শুল্ক শূন্য থেকে বাড়িয়ে শতাংশ নির্ধারণ। জ্বালানিসাশ্রয়ী বাতির ওপর ভ্যাট শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব। নতুন বন্ড লাইসেন্স ফি ৫০ হাজার টাকার স্থলে লাখ টাকা এবং লাইসেন্স নবায়ন ফি বার্ষিক হাজার টাকার স্থলে ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব।

ইএবি সভাপতি বলেন, ‘আমরা মনে করি, শিল্প টিকে থাকলে রাজস্ব আসবে, নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। গত অর্থবছরে আমাদের পোশাক রফতানি ছিল ৪৭ বিলিয়ন ডলার, ২০৩০ সাল নাগাদ আমরা ১০০ বিলিয়ন ডলার রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছি। সরকারের অব্যাহত সহযোগিতায় আমরা রফতানি বাড়াতে পারলে করহার না বাড়িয়েও রাজস্ব বাড়ানো সম্ভব। এতে অর্থনীতি বেশি উপকৃত হবে।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে বারবার জোর দাবি জানিয়ে আসছি, ২০২৯ সাল পর্যন্ত পোশাক বস্ত্র খাতের চলমান সব নীতিসহায়তা অব্যাহত রাখা এবং বিকল্প নীতিসহায়তা প্রবর্তন না করা পর্যন্ত যেন চলমান নীতিসহায়তাগুলো কাটছাঁট না করা হয়।

পোশাকসহ রফতানি খাতের জন্য নীতিসহায়তা চেয়ে ইএবি সভাপতি বলেন, ‘উৎসে কর দশমিক শতাংশে নামিয়ে আনা এবং এটিকে চূড়ান্ত করদায় হিসেবে গণ্য করা এবং আগামী পাঁচ বছর পর্যন্ত অব্যাহত রাখতে হবে।

 রফতানি খাতে নীতিসহায়তার ওপর আয়কর অব্যাহতি দিতে হবে। শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় সব পণ্য সেবার ওপর ভ্যাট পরোক্ষ ট্যাক্স প্রত্যাহার করতে হবে।

ইএবির প্রস্তাবগুলোর মধ্যে আরো রয়েছে ২০২৬ সালে এলডিসি উত্তরণের পর বিকল্প সহায়তার ব্যবস্থা করা। এইচএস কোড ওজনসংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করা। ইআরকিউর ওপর আয়কর ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ। অগ্নি নিরাপত্তা সরঞ্জাম পুনঃস্থাপনের ক্ষেত্রে আমদানির ওপর কর রেয়াত প্রদান। পোশাক শিল্পের ঝুট বা বর্জ্য সংগ্রহের ওপর দশমিক শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন