রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় মাল্টিসেক্টর প্রকল্প

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, কক্সবাজার

ছবি : সংগৃহীত

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নেয়া ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা দৈনন্দিন জীবনযাপনে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে। সৃষ্ট এ সংকট মোকাবেলায় মাল্টিসেক্টর প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় জরুরি ভিত্তিতে প্রকল্পের অধীনে বিভিন্ন সেবা সুবিধা ও অবকাঠামো উন্নয়ন করছে। প্রকল্পটির মাধ্যমে স্থানীয় ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ বিভিন্ন সামাজিক সেবা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সুরক্ষা বৃদ্ধির কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

গতকাল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কক্সবাজার কার্যালয়ের হলরুমে প্রকল্প বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানানো হয়। প্রকল্পের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন এলজিইডি কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন খান।

তিনি বলেন, ‘আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে এলজিইডি ব্যাপক কাজ করেছে। স্থানীয়দের জন্য ২৬৮ কিলোমিটার রাস্তা উন্নয়ন এবং পুনর্বাসনের কাজ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ১৯০ কিলোমিটার রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে। উখিয়া উপজেলায় নির্মিত চারটি সেতু, ৪৫টি বিদ্যালয় কাম দুর্যোগ আশ্রয় কেন্দ্রের অধিকাংশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজার-মহেশখালী যোগাযোগের গেটে একটি আধুনিক জেটি নির্মাণ করা হচ্ছে। দুটি রাবার ড্যামের কাজ করা হচ্ছে। এগুলো ছাড়াও বেশকিছু কাজ চলমান।’

তিনি আরো বলেন, ‘ক্যাম্পের অভ্যন্তরে মাল্টিপারপাস কমিউনিটি সার্ভিস সেন্টার, স্যাটেলাইট ফায়ার সার্ভিস সেন্টার, ২৬৮টি বজ্র নিরোধক যন্ত্র, সোলার বিদ্যুৎ প্যানেল, এনার্জি সেক্টরে ২ হাজার ৫০০টি সৌর সড়কবাতি, এনার্জি সাপ্লাইয়ের জন্য ৩৫টি ন্যানোগ্রিড স্থাপন করা হয়েছে। আরো ৩৫টির কাজ চলমান।’

মামুন খান বলেন, ‘এক্ষেত্রে সচেতনতার জন্য আমরা বিসিসিপিকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছি। বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামসের (বিসিসিপি) মাধ্যমে নিম্ন থেকে উচ্চ পর্যায়ে বার্তা পৌঁছে দিতে পেরেছি। উপকারভোগীরা এসব উন্নয়নের জন্য ভালো ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। যেহেতু কাজগুলো তাদের জন্য করা হচ্ছে।’

সভায় প্রকল্পের উদ্দেশ্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিসিসিপির পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান। এ সময় এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী আবদুর রহমান মুহিব ও বিসিসিপির জ্যেষ্ঠ উপপরিচালক আবু হাসিব মোস্তফা জামাল উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন