ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্য বানাতে আজ জাতিসংঘে ভোট

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি : বণিক বার্তা

জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যরাষ্ট্র হওয়ার জন্য ফিলিস্তিনিদের আবেদনের ওপর আজ নিরাপত্তা পরিষদে ভোটের আয়োজন করা হয়েছে। ২০১১ সালে প্রথম এ আবেদন করা হয়েছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিয়ে বারবারই এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করে আসছে। গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের মধ্যে এপ্রিলের শুরুতে ফিলিস্তিনিরা সদস্যপদ পাওয়ার আবেদনটি পুনরুজ্জীবিত করে।

ফিলিস্তিন জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের জন্য বছরের পর বছর চেষ্টা চালিয়ে আসছে। তবে তাদের এ আর্জি প্রথমে নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন পেতে হবে এবং তারপর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এর পক্ষে অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন লাগবে। পূর্ণ সদস্য না হলেও ফিলিস্তিন ২০১২ সালে জাতিসংঘে পর্যবেক্ষকের মর্যাদা পেয়েছে।

কূটনীতিকরা জানান, ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ স্থানীয় সময় আজ বেলা ৩টার দিকে খসড়া প্রস্তাব নিয়ে ভোট অনুষ্ঠান করবে। এ প্রস্তাবে ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে যে ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে স্বীকার করে নেয়া হোক।’

নিরাপত্তা পরিষদে এ প্রস্তাব পাস হতে এর পক্ষে অন্তত নয়টি ভোট প্রয়োজন এবং যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীনের কোনো ভেটো পড়া যাবে না। কূটনীতিকরা অবশ্য বলছেন, ফিলিস্তিনকে পূর্ণ জাতিসংঘ সদস্য করার পক্ষে সমর্থন জানাতে পারে নিরাপত্তা পরিষদের ১৩ সদস্য। তবে প্রস্তাবটি আটকানোর জন্য শেষ পর্যন্ত ভেটো দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।

ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেয়ার বিষয়ে খসড়া প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছে আলজেরিয়া। দেশটি এ প্রস্তাবের ওপর গতকাল বিকালে ভোট অনুষ্ঠানের অনুরোধ জানিয়েছিল। তবে ওই একই সময় মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের একটি বৈঠক থাকায় তা একদিন পিছিয়ে দেয়া হয়। 

এদিকে আঞ্চলিক ব্লক আরব গ্রুপ মঙ্গলবার একটি বিবৃতি দিয়ে ফিলিস্তিনিদের আবেদনের প্রতি তাদের ‘অটল সমর্থন’ নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘের প্রাসঙ্গিক রেজল্যুশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ফিলিস্তিন সমস্যার স্থায়ী সমাধানে জাতিসংঘের সদস্যপদ ন্যায়সংগত এবং সঠিক পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

যুক্তরাষ্ট্র যদিও বলছে, সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে সরাসরি আলোচনার মধ্য দিয়ে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হওয়া উচিত, জাতিসংঘের মাধ্যমে নয়। এ বিষয়ে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বুধবার বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাস করেই যে আমরা দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের পথে এগোনোর মতো একটি অবস্থানে পৌঁছতে পারব তেমন সম্ভাবনা দেখি না।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন