দুই মাস পর নদীতে জেলেরা, মিলছে না আশানুরূপ ইলিশ

এস এম রাসেল, চাঁদপুর

ছবি: বণিক বার্তা

জাতীয় সম্পদ ইলিশের আমদানি বাড়ানোর লক্ষ্যে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস জাটকা সংরক্ষণ অভিযান শেষ হয়েছে ৩০ এপ্রিল মধ্যরাতে। আজ বুধবার (১ মে) থেকে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশ আহরণে নেমেছেন জেলেরা। জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে শুরু করে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত নৌ সীমানায় হাজার হাজার জেলে এখন মাছ আহরণে নদীতে বিচরণ করছেন।

৬১ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে মাছ ধরায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরলেও বড়স্টেশন মৎস্য আড়তে আশানুরূপ ইলিশ মাছ উঠেনি। মঙ্গলবার রাত থেকেই সাগর ও নদীতে নেমেছেন হাজার হাজার জেলে। কিন্তু আশানুরূপ ইলিশ উঠছে না জালে। তাই বড় স্টেশন মৎস্য আড়ৎগুলো অনেকটা মাছশূন্য। কিছু ট্রলার ও নৌকায় মাছ এলেও তা একেবারেই কম। এতদিন বন্ধ থাকার পর এখন আশানুরূপ  ইলিশ না উঠায় হতাশ জেলে, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা।

প্রায় ফাকা মাছের আড়ত


বুধবার দুপুর পর্যন্ত ইলিশ মাছ উঠেছে সাত-আট মণ মাছগুলো মূলত চাঁদপুরসহ আশপাশের এলাকার উপকূলীয় অঞ্চলের ইলিশ এখনো তেমন আসা শুরু করেনি

সরেজমিনে দেখা যায়, ইলিশ মাছের সাইজ ছোট অধিকাংশ মাছের সাইজ কেজির নিচে ৬০০ গ্রাম থেকে এক কেজি সাইজের মাছ বেশি কিছু ইলিশ দুই কেজি সাইজেরও দেখা গেছে ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের মাছের দাম ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশের দাম ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা এছাড়া অন্যান্য মাছও খুবই কম উঠেছে আমদানি কম থাকায় দাম অনেক বেশি

ঘাটে মাছ নিয়ে এসেছেন রাজরাজেশর এলাকার জেলে মো. জাহাঙ্গীর তিনি বলেন, ‘‌দুই মাস পর আজ নদীতে নেমেছি ইলিশ কম কিছু চেওয়া মাছ পেয়েছি ওই মাছ আড়তে বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছি

একই এলাকার আরেক জেলে মো. সোলাইমান জানান, তারা চারজন নদীতে নেমেছেন ইলিশ ধরার জন্য মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত যে পরিমাণ ইলিশ পেয়েছেন, তা সাইজে ছোট কোনো রকমে জ্বালানি খরচ উঠবে

মেসার্স লুৎফা আড়তের ব্যবসায়ী কামাল হোসেন জানান, প্রথম দিনে ইলিশের আমদানি কম যে কারণে দামও চড়া আজ এক কেজি ওজনের বেশি ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ টাকা ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা এবং ৫০০-৬০০ গ্রামের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা

আরেক মাছ ব্যবসায়ী ওমর ফারুক বলেন, ‘‌ঘাটে ইলিশের আমদানি কম তবে অন্যান্য প্রজাতির মাছ আমদানি হয়েছে ইলিশসহ বিভিন্ন মাছের আড়ত রয়েছে ৪০টি এর মধ্যে আট-নয়টি ছাড়া অন্য আড়তে মাছ নেই ইলিশের কোনো স্তূপ দেখা যায়নি

চাঁদপুর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শবেবরাত সরকার জানান, মা-ইলিশ অভিযান শেষে মাছ ধরার প্রথম দিনে ঘাটের বিভিন্ন আড়তে সাত-আট মণ ইলিশের আমদানি হয়েছে যার অধিকাংশই ছোট দামও আগের তুলনায় অনেক বেশি তিনি বলেন, ‘‌বৃষ্টি হলে ও নদীতে পানি বাড়লে মাছ ধরা পড়বে আবহাওয়াও একটা কারণ

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন