সেতুর অভাবে দুর্ভোগে নাগেশ্বরী নদীপাড়ের মানুষ

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ

নাগেশ্বরী নদীর ভাঙা সাঁকো পার হচ্ছে কয়েকজন শিক্ষার্থী ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

বিভিন্ন সময় দাবি জানিয়ে এলেও ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার নাগেশ্বরী নদীতে নির্মাণ করা হয়নি সেতু। এতে দুর্ভোগে পড়েছে উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের অলহরী ইজারাবন্দ, জয়দা ও ফুলবাড়িয়ার ধুরধুরিয়া গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে এলাকাবাসীই উদ্যোগ নিয়েছে কাঠের সাঁকো নির্মাণের।

নদীপাড়ের বাসিন্দারা জানান, সাঁকোটির ৬০ শতাংশ কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। মূল কাঠামোর কাজ শেষ হলেও কাঠের পাটাতন বসানো ও ত্রিশাল উপজেলার ছলিমপুর অংশের সংযোগ সড়কে মাটি ভরাটের কাজ অর্থাভাবে আটকে রয়েছে। বাকি কাজ শেষ করতে অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাসী। কাজ শেষ না হওয়ায় সাঁকো দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব এলাকার কয়েক হাজার মানুষের দাবি ছিল সেতু নির্মাণের। বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে উপজেলা সদর ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে হয় তাদের। পণ্য পরিবহনে কয়েক কিলোমিটার ঘুরতে হয়। এতে তাদের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হয়। তবে সরকারিভাবে সেতু নির্মাণ হওয়ায় চার লাখ টাকা ব্যয়ে তারা কাঠের সাঁকো নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। সাঁকোর কাজ শেষ হলে মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব হবে। তখন তিন চাকার ছোট যানবাহনও চলাচল করতে পারবে।

অলহরী ইজারাবন্দ গ্রামের স্কুল শিক্ষক হাসান বলেন, ‘সাঁকোটি নির্মাণ হলে আশপাশের কয়েক গ্রামের বাসিন্দার চলাচল সহজ হবে। এলাকার সবার সহায়তায় কাজ শুরু হয়েছে।’

ছলিমপুর আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘কোনো অঞ্চলের মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না হলে জীবনমান উন্নত হয় না। নদীর ওই পাড়ের লোকজন সেতুর জন্য দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছে। ওই পাড়ের অনেক শিক্ষার্থী আমার স্কুলে পড়াশোনা করে। ভাঙা সাঁকো পার হতে তাদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। নদীতে পানি বেশি হলে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে আসতে হয় স্কুলে।’

এ ব্যাপারে ত্রিশাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসাইন বলেন, ‘নদীর দুই পাড়ের মানুষের জন্য সেতুটি গুরুত্বপূর্ণ। কাঠের সাঁকো নির্মাণকাজে আমিও ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা করেছি। পরিষদের পক্ষ থেকে ত্রিশাল অংশের সংযোগ সড়কে মাটি ফেলার কাজ দ্রুত শুরু করব।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন