বুয়েট খোলার দ্বিতীয় দিনে ১৩০৫ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা বর্জন

বণিক বার্তা প্রতিনিধি I ঢাবি

ছবি : সংগৃহীত

ঈদুল ফিতরের ছুটির পরও পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচির মাধ্যমে রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ। ঈদের আগে দেয়া টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি গত দুদিন ধরে চালিয়ে যাচ্ছে তারা।  

বুয়েট সূত্র জানায়, ২২তম ব্যাচের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা গতকাল সকাল ৯টায় শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১ হাজার ৩০৫ শিক্ষার্থীর কেউই তাতে অংশ নেননি। এর আগে গত বুধবার ২১তম ব্যাচের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষায় মাত্র আট শিক্ষার্থী অংশ নেন। অনুপস্থিত ছিলেন ১ হাজার ২৭১ শিক্ষার্থী। এদিকে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে না আসায় বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে শিক্ষকরা প্রশ্নপত্র নিয়ে বেরিয়ে যান।

ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা বুয়েট ক্যাম্পাসে গত ২৭ মার্চ মধ্যরাতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রবেশ করেন। একে ঘিরে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ইমতিয়াজ হোসেনকে বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও ‘দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ’ ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালকের (ডিএসডব্লিউ) পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবিতে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। ৪ এপ্রিল থেকে বুয়েটে ছুটি শুরু হয়। আন্দোলনের সমর্থনে ওই সময় বুয়েটের ১৮, ২০ ও ২২তম ব্যাচের প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থী টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন করেন। এর মধ্যে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চলতে বাধা নেই বলে ১ এপ্রিল এক রায়ে জানান হাইকোর্ট। এরপর ক্যাম্পাসটিতে আবার ছাত্ররাজনীতি চালু হওয়ার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। 

বুয়েটে ঈদের ছুটি শেষে গত বুধবার থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। তবে ক্যাম্পাস খোলার আগে মঙ্গলবার বুয়েটের ডিএসডব্লিউ মো. মিজানুর রহমানকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। ওই পদে নতুন দায়িত্ব দেয়া হয়েছে পুরকৌশলের অধ্যাপক মোহাম্মদ আল আমিন সিদ্দিককে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে খোলার প্রথম দিনে ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন করেন। যদিও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি যাওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী বাস-ট্রেনের টিকিট সংকটের কারণে ফিরতে পারেননি। তাই তারা পরীক্ষায়ও অংশ নিতে পারেননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা কোর্টের কোনো অর্ডার পাইনি। যতটুকু জানতে পেরেছি, ২২ এপ্রিল পর্যন্ত কোর্ট বন্ধ রয়েছে। হয়তো এরপর অর্ডারটি হাতে পেতে পারি। হাইকোর্টের আদেশটি হাতে পেলে আমরা দেখব সেখানে কী বলা হয়েছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন