আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না: ওবায়দুল কাদের

ছবি: বণিক বার্তা (ফাইল ছবি)

আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরআজ শনিবার (১৩ এপ্রিল) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের সর্বস্তরের জনগণ যখন ঈদ উৎসব উদযাপন করছে, ঠিক সে সময়ে বিএনপি তথাকথিত গুম-নির্যাতনের কাল্পনিক তথ্য দিয়ে বাংলাদেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। মির্জা ফখরুলের দেয়া বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গুম, হত্যার ঘটনা সর্বৈব মিথ্যা এবং দায়েরকৃত মামলার সংখ্যার তথ্য সম্পূর্ণ বানোয়াট।

বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপির সষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ার পর তারা এখন মনগড়া তথ্য দিয়ে মিথ্যাচার করছে। 

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তথাকথিত গুম, খুন ও মামলার সংখ্যা নিয়ে বিদেশী প্রভুদের কাছ থেকে করুণা ও রাজনৈতিক সমর্থন লাভের আশায় বিএনপি নেতারা ধারাবাহিকভাবে সরকারবিরোধী এ অপপ্রচার চালাচ্ছে।


ঢালাওভাবে অপপ্রচার না চালিয়ে রাজনৈতিক কারণে তথাকথিত নিপীড়ন-নির্যাতনের কোনো ঘটনা ঘটলে সুনির্দিষ্ট তথ্যসহ সম্পূর্ণ তালিকা জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি জানান সেতুমন্ত্রী। 

তিনি বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে মৃত্যুবরণকারী যুবদল নেতা স্থানীয়ভাবে চিহ্নিত মাদকসেবী এবং তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে একাধিক মামলা বিচারাধীন। কোনো প্রকার আইনের ব্যত্যয় ঘটলে সরকার গুরুত্বসহ বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। কিন্তু মির্জা ফখরুল মাদকাসক্ত মাদক ব্যবসায়ীর মতো একজন অপরাধীর স্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে ‘বিরোধী দলের ওপর সরকারের নির্যাতন-এর অভিযোগ এনে অপপ্রচার চালিয়ে রাজনৈতিকভাবে ফায়দা নেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন ২০০৪ সালের ২আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র চালায়। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে অপারেশন ক্লিনহার্টসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে মোট ১২২৩ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে ক্রসফায়ার এবং পুলিশ হেফাজতে হত্যা করে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ সরকার যেকোনো মূল্যে দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন