গণতান্ত্রিক শক্তিকে সমন্বিত করে চূড়ান্ত আন্দোলন হবে —মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : ( ফাইল ছবি)

চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘‌এক দফার আন্দোলনে সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে সমন্বিত করে চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য কাজ করছি। সেই চূড়ান্ত আন্দোলনে বিজয় হবে ইনশা আল্লাহ।’ গতকাল রাজধানীর লেডিস ক্লাবে এক ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজনৈতিক নেতাদের সম্মানে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে বিএনপি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‌আমরা একটা কঠিন সময় অতিক্রম করছি। একটা খারাপ সময় অতিক্রম করছি। ফ্যাসিবাদী শক্তি জাতির ওপর চেপে ধরে বসে আছে। আমাদের সব আশা-আকাঙ্ক্ষা ব্যর্থ করে দিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু করেছি।’

ইফতার অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য ছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের উপস্থিতি। উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান, নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া মো. গোলাম পরওয়ার ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম।

বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী, এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত সেলিম, জাগপার একাংশের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ।

এর আগে সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে গুম, খুন ও পঙ্গুত্বের শিকার পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেন মির্জা ফখরুল। গুম, খুনের শিকার ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে থাকার জন্য ‘মায়ের ডাক’ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতাকে ধন্যবাদ জানান তিনি। সামনে উপস্থিত শিশু ও তরুণদের উদ্দেশ্য করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘‌তোমরা আশা হারাবে না। কখনো ভাববে না সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। কোন ভীরুতা, হতাশা যেন কাজ না করে। মনে রাখতে হবে গণতন্ত্রের আন্দোলন ন্যায়সংগত আন্দোলন। সেই আন্দোলনে আমরা বিজয়ী হব। বর্তমান সরকার একটা ফ্যাসিস্ট সরকার। দমন-নিপীড়ন না করলে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।’

খালেদা জিয়া খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলেও জানান দলের মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘‌বুধবার খালেদা জিয়া খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। ডাক্তাররা উপস্থিত ছিলেন। মনে হয়েছিল হয়তো আর সময় পাওয়া যাবে না। আল্লাহর শুকরিয়া।’

গুম, খুন ও নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার পরিবারের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘‌শুধু বিএনপি নয়। পুরো বাংলাদেশের মানুষের একই অবস্থা। পুরো দেশের মানুষ ভয়-আতঙ্কে থাকে, কখন কাকে কীভাবে তুলে নিয়ে যায়। কোনো নিশ্চয়তা নেই। এটা একটা ভয়াবহ ব্যাপার। একটা জাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।’

‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সেলের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন