![](https://bonikbarta.net/uploads/news_image/news_372733_1.jpg?t=1722048982)
উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনালে
নাইজেরিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে ৩৪তম আফ্রিকান নেশন্স কাপের শিরোপা জিতে নিল স্বাগতিক
আইভরি কোস্ট। মহাদেশীয় আসরে এ নিয়ে তৃতীয়বার শিরোপা জিতল পশ্চিম আফ্রিকার দেশটি। এই
আসরটি আয়োজনে ১০০ কোটি ডলারেরও বেশি খরচ করেছে আইভরি কোস্ট। এছাড়া দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে
আরো প্রায় সমপরিমান অর্থ খরচ করেছে তারা। এত বিপুল অর্থ ব্যয় তাদের বিফলে যায়নি। মহাদেশীয়
শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীপ কাপটা তারা দেশেই রেখে দিয়েছে।
১৯৯২ সালে সেনেগালে অনুষ্ঠিত
আসরে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয় আইভরি কোস্ট। ২০১৫ সালে একুটোরিয়াল গিনির মাঠে ফাইনালে
ঘানাকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জয় করে আফ্রিকার ‘হাতি’রা। এবার আয়োজক হিসেবে
আফ্রিকান নেশন্স কাপ জিতল দিদিয়ের দ্রগবার দেশ। ২০০৬ সালের পর ফের আয়োজক দেশ চ্যাম্পিয়ন
হলো। সর্বশষ এই কীর্তিটা মিসরের, যারা সর্বোচ্চ সাতবার শিরোপা জিতেছে। সব মিলে আইভরি
কোস্ট ১২তম স্বাগতিক দেশ হিসেবে নেশন্স কাপ জয় কর।
এই শিরোপা জিতে নাইজেরিয়াকে
ছুঁয়ে ফেলল আইভরি কোস্ট। দুই দেশেরই এখন তিনটি করে মহাদেশীয় শিরোপা। তাদের উপরে আছে
মিসর (৭), ক্যামেরুন (৫) ও ঘানা (৪)।
রোববার রাতের ফাইনালে
শুরু থেকে কর্তৃত্ব করছিল আইভরি কোস্ট। তাই উইলিয়াম ট্রুস্ট-একং ৩৮ মিনিটে নাইজেরিয়াকে
এগিয়ে দিলে স্তব্ধ হয়ে যায় আবিদজানের আলাসানে ওয়াত্তারা স্টেডিয়াম। কর্নারের বলে লাফিয়ে
হেড নিয়ে গোলটি করেন তিনি। ৬২ মিনিটে ফ্রাঙ্ক কেসির গোলে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। সিমন
আদিংগ্রার কর্নার থেকে তিনি গোল করেন। ৮১ মিনিটে আইভরি কোস্টের জয়সূচক গোল করে পুরো
দেশকে আনন্দে ভাসান ক্যান্সারজয়ী সেবাস্তিয়ান হলার। সিমন আদিংগ্রার ক্রস থেকে ফ্লিক
করে গোলটি করেন তিনি।
ফাইনালের সেরা দল হিসেবেই
শিরোপা জিতেছে আইভরি কোস্ট। ৬২ শতাংশ বল দখলে রাখে স্বাগতিকরা। তাদের ১৮টি শটের বিপরীতে
নাইজেরিয়া নিতে পেরেছে ৫টি শট। অন-টার্গেট শট আইভরিয়ানরা ৮টি নিলেও নাইজেরিয়ার ক্ষেত্রে
তা মাত্র ১টি!
মাঠের একপ্রান্তে চলছিল
উৎসব, তখন অন্য প্রান্তে রাজ্যের হতাশা। আফ্রিকার ‘সুপরা ঈগল’খ্যাত নাইজেরিয়া এ নিয়ে
পাঁচবার ফাইনালে হারল। ১৯৮৪ সালে এই আবিদজানেই ফাইনালে ক্যামেরুনের কাছে হেরেছিল তারা।
চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আইভরি
কোস্ট ৭০ লাখ ডলার ও রানার্সআপ নাইজরিয়া ৪০ লাখ ডলার প্রাইজমানি পেয়েছে। ফিফা প্রেসিডেন্ট
জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনো পুরস্কার দেন। ৮২ বছর বয়সী আইভরিয়ান প্রেসিডেন্ট আলাসানে ওয়াত্তারা
নিজের নামে করা স্টেডিয়ামে উপস্থিত থেকে খেলোয়াড়দের শিরোপা উৎসবে যোগ দেন।