চলতি মাসেই বসন্ত, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এই তিনটি দিবসের বাজার ধরতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঝিনাইদহের ফুলচাষীরা। দিবসগুলোয় দাম ভালো পেলে গত বছরে হরতাল ও অবরোধে ক্ষতি পুষিয়ে লাভের মুখ দেখবে বলে আশা তাদের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৫৪ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফুলের, যা বিক্রি করে আয় হবে প্রায় আড়াই কোটি টাকা। ভালো ফলন পেতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকেও দেয়া হচ্ছে পরামর্শ।
সরজমিন দেখা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না গ্রামের মাঠভর্তি গাঁদা, গোলাপ, জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকাসহ বিভিন্ন ধরনের ফুল। বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষীরা। এখন ফুলের ভরা মৌসুম। যে কারণে ব্যস্ততা বেড়েছে তাদের। ফুলের কুড়ি ধরে রাখতে আর ফলন ভালো পেতে বাগানগুলোয় চলছে পরিচর্যা। কেউ জমিতে সেচ দিচ্ছেন, করছে আগাছা পরিষ্কার। আবার কেউ করছেন কীটনাশক স্প্রে।
বসন্ত, ভালোবাসা দিবস আর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ফুলের চাহিদা থাকে বেশি। সেই চাহিদা মিটিয়ে ভালো লাভের আশায় দিনরাত পরিশ্রম করছেন চাষীরা। দিবসগুলো ঘিরে সারা বছরের লাভ-লোকসানের হিসাব মেলান তারা। ঊর্ধ্বগতির বাজারে ফুল চাষে বেড়েছে খরচ। তাই দাম ভালো পেলে হরতাল-অবরোধে যে ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে লাভের মুখ দেখবেন—এমনটিই আশা চাষীদের।
ফুলচাষী সাধন কুমার জানান, বসন্ত, ভালোবাসা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ফুলের চাহিদা থাকে বেশি। তবে সঠিক সময়ে যদি ফুল তুলে বাজার ধরা যায় তাহলে এবার ভালো দাম পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
পারভেজ নামে এক শ্রমিক বলেন, ‘আমি ফুলের বাগানে কাজ করি দীর্ঘদিন ধরে। তবে এই তিনটি দিবস একই মাসে হওয়ায় আমার ব্যস্ততা বেড়ে যায়।’
ফুল ব্যবসায়ী ইমতিয়াজ জানান, বাজারে গোলাপ ফুলের সংকট দেখা দিয়েছে। কারণ সামনে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস।’ এবার ভালোবাসা দিবসে একটি গোলাপ ৫০-৬০ টাকা বিক্রি হবে বলে আশা করছেন তিনি।
ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আজগর আলী জানান, ফলন ভালো পেতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষককে প্রযুক্তিগত সহযোগিতার পাশাপাশি দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন পরামর্শ।