আর্ট ক্লাব

যাদের রঙতুলিতে সেজেছে মাভাবিপ্রবি ক্যাম্পাস

শুভ দে

ছবি: লেখকের সৌজন্যে

সবুজের নান্দনিকতায় এক শৈল্পিক ক্যাম্পাস টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি)। সম্প্রতি রংতুলির আঁচড়ে নতুনভাবে সেজেছে ক্যাম্পাসের ধুলা-ময়লাময় দেয়ালগুলো। দৃষ্টিনন্দন এসব চিত্রকর্ম দেখে থমকে যাচ্ছেন পথ ধরে হাঁটতে থাকা পথচারী। মনোমুগ্ধকর এসব চিত্রকর্মের সঙ্গে স্মৃতি রাখতে ক্যামেরার হাতেও দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন তারা। বন্দি করে ফেলছেন মুহূর্তগুলো।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে, প্রথম একাডেমিক ভবনের পাশে ও দ্বিতীয় একাডেমিক ভবনের গণিত বিভাগের দেয়ালে চিত্র অঙ্কন করা হয়েছে। কোনোটিতে প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছোঁয়া, আবার কোনোটিতে পশু-পাখি, আবার কোথাও গাছপালা, কোথাওবা চার্লি চ্যাপলিন, চেস্টার ব্লিনিংটন, লালন, মওলানা ভাসানীর মতো চিত্রকর্ম। যা শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দর্শনার্থীদের মন কেড়েছে। এদিকে গণিত বিভাগের চার্লি চ্যাপলিনেও দেখা যাচ্ছে এখন নান্দনিকতার ছোঁয়া। এ চিত্রকর্মগুলো করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ১৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী হাসান শাহরিয়ার রাকিব ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু হানিফ। ধুলাবালি জমা এসব বসার জায়গায় স্বপ্রণোদিত হয়ে কারুকার্য করে চলেছেন তারা। তবে তাদের কারুকাজ সবার পছন্দ হওয়ায় নিজেকে সামনের দিনে আরো ভালোভাবে মেলে ধরতে পারবেন বলে মনে করেন তারা। 

গণিত বিভাগের ১৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী হাসান শাহরিয়ার রাকিব বণিক বার্তাকে বলেন, ‘‌ক্যাম্পাসের অপরিষ্কার জায়গাগুলো আমার চোখে খারাপ লাগত। সেই খারাপ লাগার জায়গা থেকেই নতুন কিছু করে জায়গাগুলোকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। বিশেষ করে জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে আমাদের ক্যাম্পাসের বসার জায়গাগুলো। এজন্য বসার জায়গাগুলোয় বিভিন্ন রকম চিত্রকর্ম করার চেষ্টা করব।’ তিনি আরো বলেন, ‘‌বিভিন্ন নকশা বা রং মানুষের জীবনে খুশির বার্তা নিয়ে আসে। তাই পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কে রঙিন করে সাজাতে চাই। এজন্য পৃষ্ঠপোষকতা পেলে কাজটা অনেক সহজ হবে।’

রাস্তার পাশের এ চিত্রকর্ম নজর কাড়ছে সবার। শিল্পের কারিগরি দক্ষতা পথচারীদের কাছে টানছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী প্রান্ত রায়। ঘুরতে বের হয়ে তার চোখে পড়ে এ চিত্রগুলো। তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, ‘‌কয়েকদিন আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে বের হয়ে দেখতে পেলাম এখানে নানা ধরনের চিত্রকর্ম করা হয়েছে। এ চিত্র অঙ্কন করায় এগুলো আগের থেকে অনেক ভালো লাগছে।’

টাঙ্গাইলের একটি বেসরকারি স্কুলে পড়েন আদিতি আরিয়ান প্রান্তি। বন্ধুদের সঙ্গে মাভাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ঘুরতে এসেছিলেন তিনি। প্রান্তও বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আগেও এ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি৷। তবে তখন এ জায়গাগুলোয় এমন চিত্র ছিল না। তখন জানতামও না এ জায়গার কী নাম। তবে এবার এসে এখানকার কারুকার্য দেখে ভালো লাগছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন