ইনসমনিয়া বা অনিদ্রা

২০২২-২৩ সালের বৈশ্বিক ইনসমনিয়া পরিসংখ্যান

প্রত্যেক মানুষই জীবনের কোনো এক সময়ে ঘুমের সমস্যায় ভোগে। তার পেছনে পিতা-মাতা, কোলাহলপূর্ণ প্রতিবেশী বা সাধারণ উদ্বেগ যেকোনো কারণই থাকতে পারে। অনিদ্রা এমন একটি সমস্যা যার কারণে রাতে ঘুমানো কঠিন হয়ে ওঠে। এটা অনেক ক্ষেত্রেই একজন ব্যক্তির জীবনকে হতাশাজনক করে তোলে।নিদ্রাহীনতা এখন কতটা সাধারণ ব্যাপার তা বোঝানোর জন্য মার্কিন গবেষণা সংস্থা হেল্সস্টার্ট একটি গবেষণা চালায়। 

যুক্তরাষ্ট্রে এ গবেষণা থেকে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে: 

১. প্রতি পাঁচজনের একজন প্রাপ্তবয়স্কের রাতে ঘুমাতে সমস্যা হয়। (২২ শতাংশ) 

২. যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেকের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ মাসে একবার বা তার থেকে বেশি সময় নিদ্রাহীনতায় ভোগে। 

৩. যুক্তরাষ্ট্রে ১৮-২৪ বছর বয়সী (২৯ শতাংশ) তরুণদের ইনসমনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। 

৪. ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের ১৭ শতাংশ রাত্রিকালীন ইনসমনিয়ায় আক্রান্ত।

জাপান, তাইওয়ান ও সুইডেনের নাগরিকরা অনিদ্রায় বেশি আক্রান্ত। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত জাপানিরা। পরে রয়েছে সিঙ্গাপুরের নাগরিকরা। 

এ গবেষণায় আরো যে বিষয়গুলো উঠে এসেছে: 

সিঙ্গাপুর বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আলো দূষণের দেশ।

২০০৭ সালের একটি সমীক্ষা অনুসারে, ১১-১৫ বছর বয়সী ১২ শতাংশ শিশু রাতে ঘুমাতে সমস্যার সম্মুখীন হয় এবং মাত্র ১২ শতাংশ শিশুর ঘুমের সমস্যা ছিল না। 

২০১৫ সালের একটি সমীক্ষা অনুসারে, জাপানের মাত্র ১৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কের রাতে ঘুমাতে সমস্যা হয়।

অন্যদিকে সুইডেনের নাগরিকরা ৪১ শতাংশ অনিদ্রায় ভোগে। ২০১৫ সালে এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে সংবেদনশীল দেশ করে তুলেছে।

স্ট্রেস, উদ্বেগ ও বিষণ্নতা অনিদ্রার সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলোর একটি বলে এ গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে। 

সূত্র: হেল্সস্টার্ট

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন