বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন

ঝুঁকি কমাতে যা প্রয়োজন

ফিচার ডেস্ক

ছবি: দ্য ইকোনমিক টাইমস

এমপক্স প্রাদুর্ভাব অনেক দেশেই ছিল, কিন্তু ২০২২ সালের মে মাসে এর প্রাদুর্ভাব হঠাৎ বেড়ে যায় এবং দ্রুত ইউরোপ, আমেরিকা তার পরে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।

ভাইরাসের মূল কারণ এখনো অজানা। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা কাঠবিড়ালি ও বাদুড় থেকে এ রোগ ছড়ায়।

এমপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের ঘা পুরোপুরি না শুকানো পর্যন্ত আক্রান্ত ব্যক্তির মাধ্যমে নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় উপসর্গ ছাড়াই তারা আক্রান্ত হয়েছে। তবে সে সংখ্যা অতি নগণ্য।

সাধারণত এমপক্সের কারণে শিশু, গর্ভবতী ব্যক্তি ও দুর্বল ইমিউন সিস্টেমের ব্যক্তিরা মৃত্যুঝুঁকিতে রয়েছে।

এমপক্সে আক্রান্ত কিছু লোক অন্যান্য রোগ দ্বারাও আক্রান্ত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ত্বক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রামিত হতে পারে, ফলে ফোঁড়া বা ত্বকের গুরুতর ক্ষতি হতে পারে। অন্যান্য জটিলতার মধ্যে রয়েছে নিউমোনিয়া; দৃষ্টি হারানো, কর্নিয়া সংক্রমণ; ব্যথা বা গিলতে অসুবিধা; ডিহাইড্রেশন বা অপুষ্টির কারণ বমি এবং ডায়রিয়া; এবং রক্তের সংক্রমণ (সেপসিস), মস্তিষ্ক (এনসেফালাইটিস), হার্ট (মায়োকার্ডাইটিস), মলদ্বার (প্রোক্টাইটিস) জটিলতা দেখা দিতে পারে। এমপক্স কিছু ক্ষেত্রে মারাত্মক আকার ধারণ করে।

এমপক্স হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা গোষ্ঠীগুলো হলো:

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা কর্মীরা

যে পরিবারে এমপক্স আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি আছেন, সে পরিবারের সদস্যরা (শিশুসহ)

যেসব লোকের একাধিক যৌন সঙ্গী রয়েছে

যেকোনো লিঙ্গের যৌনকর্মী ও তাদের ক্লায়েন্ট।

যত্ন ও প্রতিরোধ

এমপক্সে আক্রান্ত অধিকাংশ মানুষ দুই-চার সপ্তাহের মধ্যে সেরে ওঠে। উপসর্গগুলোকে সাহায্য করতে এবং অন্যদের মধ্যে এমপক্স সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য করণীয়:

যা করবেন

পরামর্শের জন্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা।

সম্ভব হলে বাড়িতে ও আলো-বাতাস চলাচল করে এমন ঘরে থাকা

সাবান দিয়ে হাত ধোয়া বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, বিশেষ করে ঘা স্পর্শ করার আগে ও পরে।

ফুসকুড়ি সেরে না যাওয়া পর্যন্ত অন্য লোকদের আশপাশে থাকাকালীন একটি মাস্ক পরা এবং ক্ষত ঢেকে রাখুন।

ত্বক শুষ্ক ও অনাবৃত রাখা (যদি আলাদা ঘরে থাকে)।

অন্যরা ব্যবহার করবে এমন জিনিসও স্পর্শ না করার চেষ্টা করা।

মুখের মধ্যে ঘায়ের জন্য নোনা পানির স্প্রে ব্যবহার করা।

হালকা গরম পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে তা দিয়ে গোসল করা।

প্যারাসিটামল (অ্যাসিটামিনোফেন) বা আইবুপ্রোফেনের মতো ব্যথানাশক ওষুধ সেবন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন