সিওপিডি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ

সিওপিডি ও অ্যাজমার পার্থক্য

বণিক বার্তা ডেস্ক

অনেকেই মনে করে থাকে সিওপিডি ও অ্যাজমা একই রোগ। তবে এ দুটোর মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। অ্যাজমা হলো বংশগত রোগ, অন্যদিকে সিওপিডি হচ্ছে মধ্যবয়সের রোগ। সিওপিডিতে ফুসফুসের ভেতর ক্ষুদ্র থলে বা অ্যালভিওলাইয়ের কিছু দেয়াল নষ্ট হয়ে যায়। ফুসফুসের ক্ষুদ্র নালিগুলোর স্থিতিস্থাপকতা কমে এবং নালির দেয়াল মোটা হয়ে বাতাস প্রবেশের পথ সরু হয়ে যায়। সিওপিডি শুরু হয় ধীরে ধীরে। সময়ের সঙ্গে এটি বাড়তে থাকে। মধ্যবয়সে বা বৃদ্ধ বয়সে এ রোগ দেখা দেয়। অ্যাজমা পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যেও থাকে যেহেতু এটি বংশানুক্রমে আসে, অর্থাৎ বংশে থাকলে অন্যদের হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সিওপিডির ক্ষেত্রে এমন ব্যাপার নেই। 

শতকরা ৮৫ ভাগ সিওপিডি রোগীদের দেখা যায় ধূমপানজনিত বদ অভ্যাস আছে। ধূমপান ছাড়াও এটি হয়ে থাকে, যেমন বায়ুদূষণ। এটি সিওপিডি রোগে আক্রান্ত হওয়ার মূল কারণ। শহরের ক্ষেত্রে বলা যায়, যারা বাইরে কাজ করে, যাদের নিয়মিত রাস্তাঘাটে গাড়ির ধোঁয়ার মুখোমুখি হতে হয় এবং যারা ইটের ভাটায় কাজ করে তাদের ঝুঁকি বেশি। আর গ্রামের কথা বলতে গেলে, যারা লাকড়ি পুড়িয়ে রান্না করে তারা বেশি ঝুঁকিতে থাকে। অর্থাৎ যারা বায়ু দূষিত জায়গায় বাস করে বা কাজ করে তাদের এ রোগ বেশি হয়ে থাকে। 

অ্যাজমা হচ্ছে অ্যালার্জিজনিত রোগ, এ রোগীদের অন্য রোগও থাকতে পারে। যেমন চর্মরোগও থাকতে পারে। অনেকের রাইনাইটিস (নাকের অ্যালার্জি) থাকতে পারে। এ রোগগুলো সিওপিডির রোগীদের মধ্যে দেখা যায় না। অ্যাজমা রোগীরা বেশির ভাগ ধূমপান করে না, আর যদি করেও থাকে তাহলে তার ওষুধের কার্যকারিতা অনেক কমে যায়। কোনো অ্যাজমা রোগী যদি ধূমপায়ী হয়ে থাকে, তাহলে একটা সময় সে সিওপিডি রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন