অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতকালে রোগবালাই একটু বেশি হয়। তবে একেকজনের ক্ষেত্রে এ রোগবালাই হওয়ার কারণ একেক রকম। শীতের কারণে মানুষের সাধারণ সর্দি-কাশি, অ্যাজমা বা হাঁপানি বাড়ে। এছাড়া সিজন চেঞ্জের কারণে অনেকেরই জ্বর হয়। আবার বয়স্কদের ক্ষেত্রে শরীরের ব্যথা বেড়ে যায়। এছাড়া শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায় টনসিল ফুলে যায়। আবার স্কিনের ক্ষেত্রে কিছু রোগ বাড়ে, চামড়া শুষ্ক হয়ে যায় বলে এসব রোগ বেড়ে যায়।
এ রোগগুলো শীতকালেই কেন বেশি হয়?
যেহেতু আর্দ্রতা চেঞ্জ হয়, বাতাসে ধুলাবালি বেশি ওড়ে, তাই শীতকালে এসব রোগ বেশি হয়।৷এছাড়া ঠাণ্ডা লাগলে যে কারো কাশি বা অ্যাজমা হতে পারে। এ ধরনের রোগগুলো শীতকালেই বেশি হয়। কারণ শীতকালে আমাদের শরীরের মাসলগুলো শক্ত থাকে। এ কারণে ব্যথা আরো বেড়ে যায়।
কোন বয়সী রোগী এ ধরনের রোগে বেশি আক্রান্ত হয়?
শিশু বা বয়স্ক যারা, তাদের রোগটা বেশি হয়। যাদের বয়স ৬০-৭০ বছর তাদের সহ্য ক্ষমতা কমে আসে।৷ফলে তারা আক্রান্ত হন বেশি। শিশুদের ক্ষেত্রেও একই বিষয়৷হয়।
যা করা উচিত
শীতের সময়েও প্রচুর পানি খাওয়া উচিত।
এছাড়া ভিটামিন সি রয়েছে, এমন খাবার যেমন জলপাই, কমলা, লেবু ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। এগুলো একপ্রকার প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
শিশুরা অনেক সময় শরীরে গরম কাপড় রাখে না বা খুলে ফেলে। তাই তাদের দিকে সতর্ক নজর রাখা উচিত।
শীতকালেও নিয়মিতভাবে শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করতে হবে।
গরম কাপড় পরতে হবে, কান ও হাত ঠেকে রাখতে হবে, গলায় মাফলার ব্যবহার করতে হবে।
বাইরে ধোঁয়া বা ধুলা এড়িয়ে চলার সমস্যায় মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে।