স্বাস্থ্য বীমা

সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য বীমার বিকল্প নেই

ডা. এ এম শামীম

কিছুদিন আগে ভারতের চিকিৎসাসেবা নিয়ে কলকাতায় এক তরুণ বিক্রয় প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হচ্ছিল। কথায় কথায় তিনি বললেন, মাস দুয়েক আগে তার বাবার হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হয়। বাবার বয়স ৬২ বছর। সঙ্গে সঙ্গে দিল্লি ম্যাক্স হাসপাতালে নিয়ে বাইপাস সার্জারি করিয়ে এনেছেন। তাতে তার বিল এসেছে ৭ থেকে সাড়ে ৭ লাখ রুপি। কিন্তু এ বিশাল অংকের বিল নিয়ে তাকে একদমই দুশ্চিন্তা করতে হয়নি। কেননা পুরো টাকার মধ্যে তাকে দিতে হয়েছে মাত্র ৫০ হাজার রুপি। এটা কীভাবে সম্ভব? তরুণটি জানালেন, তিনি যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন সেখানে তার ও তার পরিবারের স্বাস্থ্য বীমা করা আছে। প্রতি মাসে বেতন থেকে দুই হাজার রুপি সেখানে জমা দেন। আর তার প্রতিষ্ঠান দেয় দুই হাজার রুপি। এভাবেই একটা স্বাস্থ্য বীমার কাভারেজের মধ্যে ঢুকে গেছে সে। এ বীমার আওতায় মোট ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা ব্যয়ের জন্য তাকে আলাদাভাবে চিন্তা করতে হয় না। 

এটি একেবারে সত্য ঘটনা। অথচ আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এটিকে নেহাতই গল্পের মতো মনে হবে। আমরা সবদিক থেকে দৃশ্যমানভাবে এগোতে পারলেও স্বাস্থ্য খাতে ঠিক যেন প্রত্যাশা অনুযায়ী এগোতে পারিনি। বিশেষত স্বাধীনতার এতদিন পর এসেও দেশে একটি যথাযথ স্বাস্থ্য বীমা পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করা যায়নি। এটি দুঃখজনক। আমাদের বেড়ানোর বাজেট থাকে। উৎসবের বাজেট থাকে। এমনকি বাইরে খাওয়া-দাওয়ারও বাজেট থাকে। কিন্তু চিকিৎসার জন্য সেভাবে কোনো ভাবনা থাকে না। ফলে হঠাৎ করেই যখন কোনো রোগ ধরা পড়ে, তার সুচিকিৎসা করতে গিয়ে আমরা রীতিমতো হিমশিম খাই। অথচ নিয়মিত যদি কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়, তাহলে রোগটি জটিল হওয়ার আগেই ব্যবস্থা নেয়া যায়। এতে রোগাক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বা চিকিৎসাসংক্রান্ত খরচ কমিয়ে আনা যায়। কিন্তু এসব পরীক্ষা করাতে আমরা আগ্রহী হই না। এজন্য কোনো বাজেটও রাখি না। নিয়মিত সামান্য কিছু অর্থ প্রিমিয়াম হিসেবে দেয়ার মাধ্যমে স্বাস্থ্য বীমায় যুক্ত হতে পারলে সেটা হয়তো আমাদের জন্য আশীর্বাদ হিসেবেই আবির্ভূত হতো। কিন্তু সেটা আমাদের দেশে বলতে গেলে এখন সম্ভবই নয়। কারণ দেশে এখনো স্বাস্থ্য বীমা চালুই হয়নি। এ নিয়ে তেমন জোরালো কোনো তৎপরতাও দেখা যায় না।

সরকারের নির্দিষ্ট বরাদ্দের বাইরে সেবাগ্রহীতা নিজ পকেট থেকে যে অর্থ ব্যয় করেন, তাকে আউট অব পকেট এক্সপেন্ডিচার বা বাড়তি খরচ বলা হয়। বিপুলসংখ্যক নাগরিকের জন্য এ খরচ বহন করা কঠিন কিংবা অসম্ভব হয়ে উঠেছে। এ খরচ বাড়তে থাকবে, যতক্ষণ না আমরা কার্যকর একটি স্বাস্থ্য বীমা চালু করতে পারছি। সর্বজনীন স্বাস্থ্য বীমা চিকিৎসা গ্রহণে মানুষের আগ্রহ বাড়াবে এবং খরচের বোঝা কমে যাবে। স্বাস্থ্য বীমার জন্য সরকারি-বেসরকারি ও সেবাগ্রহীতার সমন্বিত প্রচেষ্টা জরুরি। দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য রক্ষায় স্বাস্থ্য বীমার বিকল্প নেই। এখানে স্বাস্থ্য বীমা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। এটাই বড় সমাধান। স্বাস্থ্য বীমা হলে রোগীর ওপর থেকে খরচের চাপ অনেকটাই কমে যাবে।

বিভিন্ন গবেষণা ও বিশ্বব্যাংক গত বছরের শেষ দিকে ‘ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইন ফোকাস: ক্লাইমেট অ্যাফ্লিকশন’ শীর্ষক প্রকাশনায় জানিয়েছে, আউট অব পকেট এক্সপেন্ডিচারের বৈশ্বিক গড় ৩২ শতাংশ হলেও বাংলাদেশে রোগীরা স্বাস্থ্যসেবায় ব্যয়ের ৭৪ শতাংশ নিজস্ব উৎস থেকে মেটায়। এর মধ্যে ৬৩ শতাংশ খরচ হচ্ছে ওষুধে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) গ্লোবাল হেলথ এক্সপেন্ডিচার ডাটাবেজ বলছে, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে স্বাস্থ্যসেবায় অর্থায়নের সিংহভাগ আসে রোগীর পকেট থেকে। এক্ষেত্রে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে। চিকিৎসকের পরামর্শের ফি, ওষুধ, রোগ নির্ণয়, পরিবহনসহ অন্যান্য খরচ বাড়তি ব্যয়ের অন্তর্ভুক্ত।

বাজেটে অন্যান্য খাতের মতো স্বাস্থ্য খাত তেমন গুরুত্ব পাচ্ছে না। সরকারি অবকাঠামোগত স্বাস্থ্যসেবাও জনগণের বাড়তি ব্যয় কমাতে পারছে না। ২০২১ সালের নভেম্বরে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট জানিয়েছিল, সরকারি হাসপাতাল থেকে ওষুধ পান মাত্র ৩ শতাংশ রোগী আর প্রায় ১৫ শতাংশ রোগী রোগ নির্ণয়ের সুযোগ পান। ২০১২ সালে বাড়তি ব্যয় ছিল ৬৩ শতাংশ। ‘স্বাস্থ্যসেবা অর্থায়ন কৌশল: ২০১২-২০৩২’ অনুযায়ী, ২০৩২ সালের মধ্যে এ ব্যয় ৩২ ভাগে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নেয়া হয়েছিল। তবে চিকিৎসায় রোগীর নিজস্ব খরচ তুলনামূলক বেড়েছে, যা বর্তমানে প্রায় ৭৫ শতাংশ। 

সবার জন্য বৈষম্যহীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে বীমার বিকল্প নেই। আমরা জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) মাধ্যমে স্বাস্থ্য বীমা কার্যক্রম শুরু করতে পারি। এনআইডি কাজে লাগিয়ে ব্যক্তির ইলেকট্রনিক মেডিকেল রেকর্ড বা ইএমআর তৈরি করতে পারি। এতে রোগীর বংশগত রোগ, পরিবারের অন্য সদস্যদের রোগের ইতিহাস, নিজের রোগ ও শারীরিক অবস্থাসংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। হাসপাতালে বহির্বিভাগে টিকিট কাটার সময় ব্যক্তির এনআইডি নম্বর নিয়ে এসব তথ্য ইএমআরে যুক্ত করা হবে। শক্তিশালী সার্ভারের মাধ্যমে সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করা হবে। এরপর কোথাও চিকিৎসার জন্য গেলে ব্যক্তির এনআইডি নম্বর দিলেই তার স্বাস্থ্যবিষয়ক তথ্য পাওয়া যাবে।

বীমার ক্ষেত্রে গ্রহীতা তার পকেট থেকে একটা ছোট অংশ দেবে। বড় অংশটা আসবে সরকারের বাজেট বরাদ্দ থেকে। এছাড়া চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে নিজ নিজ অফিস তার কর্মীদের স্বাস্থ্য বীমার একটা অংশ প্রদান করবে।

দেশের জনগোষ্ঠীর মধ্যে সাধারণত ১৫ থেকে ২০ শতাংশের কোনো না কোনো রোগ থাকে। কিছু রোগের চিকিৎসা ব্যয় অনেকের সামর্থ্যের বাইরে। যেমন কিডনি রোগ, হৃদরোগ, ক্যান্সার, মস্তিষ্কের রক্ত সরবরাহের বিঘ্নতা বা স্ট্রোক, নিউরো সার্জারি, অর্থোপেডিক সার্জারিসহ বেশকিছু জটিল রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল। কিডনি অকেজো হলে তা প্রতিস্থাপন করতে হবে অথবা সারা জীবন ডায়ালাইসিস করতে হয়। সপ্তাহে দু-তিনবার ব্যয়বহুল এ চিকিৎসা প্রয়োজন হয়।

ডায়ালাইসিস করতে প্রতি মাসে নিয়মিতভাবে যে খরচ হয় তাতে রোগীর পরিবার আর্থিক বিপর্যয়ে পড়ে যায়। হার্টের রোগের ক্ষেত্রে বাইপাস সার্জারি, এনজিওপ্লাস্টি ও স্টেনটিং করতে হয়। ক্যান্সারের জন্য কেমোথেরাপি-রেডিওথেরাপি দিতে হয়। বয়স্কদের মধ্যে নিউরো ও অর্থোপেডিক সার্জারিও বেশি হচ্ছে। এমন আরো অনেক জটিল রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যক্তি বছরে বা মাসে নির্দিষ্ট টাকার প্রিমিয়াম দিয়ে বীমা করবে। তাতে চিকিৎসার সময় ব্যয়ের বড় অংশ এখান থেকে মেটাতে পারবে। কেউ কর্মজীবনের প্রথমে বছরে নির্দিষ্ট অংকের প্রিমিয়াম দেয়া শুরু করলে বৃদ্ধ বয়সে ১-২ লাখ টাকা মূল্যমান বা তার বেশি চিকিৎসা নিতে পারবে। স্বাস্থ্য বীমার শর্ত অনুযায়ী, যেকোনো বয়সে সেবা পাবে। এতে সরকার, সংশ্লিষ্ট বীমাপ্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির অংশগ্রহণ থাকবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এসব ব্যয়বহুল চিকিৎসা মানুষের নাগালের বাইরে ছিল। তারা গত কয়েক বছর আগে বীমার আওতায় এসেছে।

কিছু অসংক্রামক ও দীর্ঘমেয়াদি রোগ যুগ যুগ ধরে চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। যেমন উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ভিটামিন ডি ডেফিসিয়েন্সি, হাইপোথাইরয়েডিজমের (জন্মগত বামনত্ব, পেশির কাঠিন্য ও মানসিক জড়তা) মতো রোগ। এসবের চিকিৎসা রোগীর পরিবারের সদস্যদেরও খরচ বাড়ায়। একটা প্রিমিয়াম নিয়ে বীমা শুরু করলে রোগ প্রতিরোধের মাধ্যমে মানুষকে চিকিৎসার দীর্ঘমেয়াদি খরচ থেকে বাঁচানো যাবে। 

দেশে সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বীমা ততটা জরুরি নয়। এর পরও কিছু ক্ষেত্রে সংক্রামক রোগের চিকিৎসা বীমার আওতায় আনা যেতে পারে।

ইমিউনাইজেশন বা টিকাদান কার্যক্রম, দুর্ঘটনা ও মহামারীতে জরুরি চিকিৎসাকে স্বাস্থ্য বীমার আওতায় আনতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তারা জাতীয় পরিচয়পত্রধারী যে কাউকে সেবা দিতে বাধ্য থাকবে। বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের সময় সরকার এ শর্ত দেবে। সরকারিভাবে স্বল্প মূল্যে বেসরকারিকে দিয়েও চিকিৎসা সম্ভব। দেশের মোট স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ৬৫ শতাংশই বেসরকারি খাতে। করোনা নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসায় আমরা সফল। তবে স্বাস্থ্য বীমা চালু থাকলে রোগীর খরচ কমত।

চিকিৎসাসেবায় বিশ্বের মডেল কিউবা, স্বাস্থ্য বীমা নাগরিকের চিকিৎসার শতভাগ খরচ বহন করে। যুক্তরাজ্যে স্বাস্থ্য বীমা ব্যক্তির চিকিৎসা ব্যয়ের ৭৫ থেকে ৮৫ শতাংশ বহন করে। বাকিটা রোগীকে বহন করতে হয়। ভারতে সম্প্রতি ‘আয়ুষ্মান ভারত’ নামে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রকল্পের মাধ্যমে ২৫ থেকে ৩০ কোটি মানুষকে স্বাস্থ্য বীমার আওতায় আনা হয়েছে। ১৩০ কোটি মানুষের দেশটির সবাইকে বীমার আওতায় আনতে সময় লাগবে। ভারতে সরকারি বরাদ্দ, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও সেবাগ্রহীতার অংশগ্রহণে প্রিমিয়াম তৈরি হয়। ভারতে ওই সব অঞ্চলে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান অর্ধেক মূল্যে সেবা দেয়। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আছে আরোগ্যশ্রী স্কিম।  

মানুষের জরুরি চিকিৎসা যাতে অর্থের অভাবে বন্ধ না হয় সেজন্য সর্বজনীন স্বাস্থ্য বীমা চালু করা জরুরি। বাজেটে এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখা যেতে পারে। এ ব্যবস্থায় রোগীরা তাদের চাহিদামাফিক স্বাস্থ্যসেবা দেশের মধ্যে থেকেই গ্রহণ করতে পারে। সর্বজনীন পলিসির আওতায় সরকার সরাসরি চিকিৎসা ব্যয় পরিশোধ বা ভর্তুকি দিতে পারে। এতে নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল জনগোষ্ঠীর চিকিৎসাসেবা সহজ হবে। শুরুতে একটি পাইলট প্রকল্প শুরু করা যেতে পারে। দেশের দশটি এলাকার দশটি শ্রেণীর মধ্যে চালু করা যেতে পারে এ প্রকল্প। এতে প্রিমিয়াম দিতে পারে এমন ২ কোটি মানুষকে নিয়ে কার্যক্রম শুরু করা যায়। এ প্রিমিয়ামের একটা অংশ দেবেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নিজে, আর একটা অংশ দেবে ওই ব্যক্তি যেখানে চাকরি করেন সেই প্রতিষ্ঠান। আর বাকি অংশটি আসবে সরকারের কাছ থেকে। সরকারের যে বিশাল অংকের স্বাস্থ্য বাজেট থাকে, তা থেকেই একটা অংশ এ খাতে ব্যয় করা সম্ভব। মোট কথা, এভাবে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা গেলেই স্বাস্থ্য বীমা সফলভাবে পরিচালনা সম্ভব হবে। এটা ফাইন্যান্সিয়ালিও ভায়াবেল হবে। 

নাগরিকের মৌলিক অধিকার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। স্বাস্থ্য বীমার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র ও ইলেকট্রনিক মেডিকেল রেকর্ডের মাধ্যমে শক্তিশালী স্বাস্থ্যসম্পর্কিত তথ্যভাণ্ডার তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। এ কার্যক্রম দিয়েই শুরু হতে পারে স্বাস্থ্য বীমার প্রস্তুতি। সরকারি-বেসরকারি খাত ও এনজিওর সমন্বিত প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্য বীমা করার সময় এখনই। মনে রাখতে হবে, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে নানা অব্যবস্থা বিরাজ করছিল। বর্তমানে সেটা কিছুটা হলেও একটা নিয়ম-নীতির মধ্যে এসেছে। সরকারের সঙ্গে বেসরকারি উদ্যোক্তারা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে। তার পরও সমাজের একটা বিপুলসংখ্যক মানুষ এখনো পর্যাপ্ত ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবার বাইরে রয়ে গেছে। তাদের এ সেবার মধ্যে আনা যাবে তখনই, যখন দেশে একটা কার্যকর স্বাস্থ্য বীমা চালু করা যাবে। আমার বিবেচনায়, আমরা যদি ১০ বছরের একটা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করি এবং লাগসই উদ্যোগ গ্রহণ করি, তাহলে আশা করা যায় দেশের অধিকাংশ মানুষকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবার আওতায় আনা সম্ভব হবে।

ডা. এ এম শামীম: ল্যাবএইড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন