চামড়া শিল্পে শৃঙ্খলা আনা জরুরি —শিল্পমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, চামড়া শিল্পের উন্নয়নে চামড়া সুষ্ঠুভাবে সংগ্রহ ও সংরক্ষণের লক্ষ্যে দেশব্যাপী শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে। এ খাতে শৃঙ্খলা নিয়ে আসা জরুরি। গতকাল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘বাংলাদেশের চামড়া খাতের সক্ষমতা এবং চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, চামড়া ও চামড়াজাত শিল্পের উন্নয়নের লক্ষ্যে এ খাতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশের শিল্প ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এটি একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাবনাময় খাত। গত অর্থবছরে রফতানি আয়ের ক্ষেত্রে তৈরি পোশাক খাতের পরই এ খাতের অবদান ছিল সর্বোচ্চ। চামড়া ও চামড়াজাত শিল্পের অপরিসীম সম্ভাবনা অনুধাবন করে সরকার এটিকে একটি অন্যতম শীর্ষ অগ্রাধিকার খাত হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সাপোর্ট টু সাসটেইনেবল গ্র্যাজুয়েশন প্রকল্প (এসএসজিপি) এ কর্মশালার আয়োজন করে। ইআরডি সচিব শরিফা খানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য আবদুল বাকী এবং মেট্রোপলিটান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুল ইসলাম। কর্মশালার বিষয়বস্তুর ওপর মূল উপস্থাপনা প্রদান করেন চামড়া ও চামড়াজাত শিল্পের অন্যতম বিশেষজ্ঞ রবিউল ইসলাম রবি।

এ সময় ইআরডি সচিব শরিফা খান স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের প্রেক্ষাপটে চামড়া ও চামড়াজাত শিল্পকে প্রস্তুত করার জন্য প্রয়োজনীয় নীতিপদ্ধতি প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য আবদুল বাকী চামড়া শিল্পের উন্নয়নের লক্ষ্যে বাণিজ্য সহজীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। 

উল্লেখ্য, স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাজারে শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত সুবিধা পেয়ে থাকে। এ শিল্প সরকার থেকে নগদ ভর্তুকি সুবিধাও পায় কিন্তু স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর এ ধরনের সুবিধাগুলো অব্যাহত রাখা সম্ভব না-ও হতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় চামড়া ও চামড়াজাত শিল্পের সমস্যা ও সম্ভাবনা চিহ্নিতকরণ এবং উত্তরণ-পরবর্তী পরিস্থিতির জন্য এ শিল্পকে প্রস্তুত করার লক্ষ্যে কী ধরনের নীতি পদ্ধতি অনুসরণ করা প্রয়োজন, তা পর্যালোচনার লক্ষ্যে এ কর্মশালা আয়োজন করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন