অ্যাজমা বা হাঁপানি

কখন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে

বণিক বার্তা ডেস্ক

অ্যাজমা হলো শ্বসনতন্ত্রের একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ, যার কারণে রোগীর শ্বাস গ্রহণকালে অসুবিধা ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করে। অ্যাজমার লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে কাশি, শ্বাস ছাড়ার সঙ্গে গ্রহণ (সংকীর্ণ শ্বাসনালি দিয়ে অশান্ত বায়ুপ্রবাহের কারণে একটি উচ্চ শিসের শব্দ), নিশ্বাসের স্বল্পতা, বুকে একটা চাপ অনুভূত হওয়া। অ্যাজমা রোগটি বংশগত ধারার মাধ্যমে এবং পরিবেশগত উপাদান দ্বারা উভয়ভাবেই হতে পারে। এই দুটি কারণের মধ্যে জটিল পারস্পরিক ক্রিয়া এ দীর্ঘস্থায়ী রোগটির কারণ।

বেশির ভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই অ্যাজমা গুরুতর অথবা তীব্র সমস্যা নয়। যদিও এ রোগের স্থায়ী নিরাময় নেই, তবে এটি নির্দিষ্টরূপে জীবনধারার কিছু পরিবর্তন দ্বারা এবং ব্যবস্থাপনা দিয়ে সহজেই পরিচালনা করা যায়। অর্থাৎ  একটি উন্নতমানের ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে এ রোগ অনকাংশে প্রতিরোধ করা যায়। তবে অবস্থা খারাপের দিকে গেলে অবশ্যই ডাক্তারের শরনাপন্ন হওয়া উচিত। নিম্নলিখিত উপসর্গগুলো দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। এক্ষেত্রে যিনি আগেই অ্যাজমার চিকিৎসা করিয়েছেন তিনি তার নিয়মিত ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। আবার যার নতুন করে উপসর্গ দেখা দিয়েছে তিনি সংশ্লিষ্ট কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

শ্বাসকষ্টের কারণে যদি শরীরের অবস্থা দ্রুত খারাপ হতে থাকে।

ইনহেলার ব্যবহার করেও যদি পরিস্থিতির উন্নতি না হয়। 

প্রতিদিনের সাধারণ কাজ সম্পাদন করার সময় কেউ যদি হঠাৎ তীব্র শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন। 

রোগ নির্ণয়ের পর রোগীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন