কিডনির যত্ন

কিডনির সুস্থতায় মনে রাখা জরুরি

বণিক বার্তা ডেস্ক

মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে একটি হলো কিডনি। রক্তে জমে যাওয়া আবর্জনা পরিষ্কার করাই কিডনির প্রধান কাজ। কিডনি প্রতিদিন প্রায় ১৭০-১৮০ লিটার পর্যন্ত পানি রক্তের অন্যান্য উপাদান ফিল্টার করে। তাই কোনো কারণে কিডনি আক্রান্ত হলে বা কিডনিতে কোনো রকম সংক্রমণ হলে শরীরে একের পর এক নানা জটিল সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তাই শরীরের সার্বিক সুস্থতা বজায় রাখতে কিডনির যত্ন নেয়া অত্যন্ত জরুরি। আর কিডনি ভালো রাখতে আমাদের কিছু নিয়ম অবশ্যই মেনে চলা উচিত। আসুন জেনে নেয়া যাক কিডনি সুস্থ রাখার কয়েকটি উপায়।

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। কিডনি ভালো রাখতে প্রতিদিন অন্তত -১০ গ্লাস পানি বা তরল খাবার খেতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেলে কিডনিতে পাথর হয় না এবং এর স্বাভাবিক কার্যক্রম ঠিক থাকে।

লবণ কম খেতে হবে। খাবারে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া কিডনির জন্য ক্ষতিকর।

অতিরিক্ত প্রাণিজ প্রোটিন খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। যেমন গরুর মাংস বা ধরনের প্রাণিজ আমিষ খেলে কিডনির ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে এবং কিডনির দুর্বল কোষগুলোর ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই প্রাণিজ প্রোটিন এড়িয়ে খাবার তালিকায় ডালজাতীয় প্রোটিন রাখতে হবে। এছাড়া মাছ খাওয়া যেতে পারে।

রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রায় রাখার চেষ্টা করতে হবে। রক্তচাপ ১৪০/৯০ এর ওপরে থাকলে কিডনিতে সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। কিডনি ভালো রাখতে রক্তচাপ সবসময় ১৩০/৮০ অথবা এর কম রাখার চেষ্টা করতে হবে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করা লবণ কম খাওয়া জরুরি।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। কারণ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না রাখলে কিডনি রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই একজন মানুষকে নিয়মিত রক্তের সুগারের পরিমাণ পরীক্ষা করা উচিত। সুগার বেশি থাকলে মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।

ওষুধ খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। কম-বেশি প্রায় সব ওষুধই কিডনির জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে ব্যথানাশক ওষুধগুলো কিডনির জন্য সবসময়ই হুমকিস্বরূপ।

প্রয়োজনের বেশি ভিটামিন সি খাওয়া যাবে না। নিয়মিত প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

কোমলপানীয় ত্যাগ করতে হবে। ধরনের পানীয়গুলো কিডনির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

. ধূমপান মদপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। ধূমপান মদপানের কারণে ধীরে ধীরে কিডনিতে রক্ত চলাচল কমে যেতে থাকে। ফলে কিডনির কর্মক্ষমতাও হ্রাস পায়।

. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা। রোজ অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা এবং সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা।

১০. নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করাতে হবে। উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত ওজন অথবা পরিবারের কারো কিডনি সমস্যা থাকলে কিডনি রোগ হয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। যাদের কিডনি রোগের ঝুঁকি আছে তাদের অবশ্যই নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করানো উচিত।

১১পর্যাপ্ত ঘুমানোর পাশাপাশি মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন