তরুণদের স্থূলতা

প্রতিরোধে যা করণীয়

বণিক বার্তা ডেস্ক

স্থূলতা বা ওবেসিটি হচ্ছে অধিক পরিমাণে মোটা বা ওভারওয়েট হয়ে যাওয়া। ওবেসিটি মূলত ক্যালরি গ্রহণ করা ও ক্যালরি ব্যয় করার মধ্যে ভারসাম্যহীনতা। শরীরে অস্বাভাবিক বা অতিরিক্ত চর্বি থাকা, যা কোনো ব্যক্তির স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। স্থূলতার কারণে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টির ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই সুষম খাদ্য গ্রহণ ও নিয়মিত অনুশীলন স্থূলত্ব প্রতিরোধ এবং একটি স্বাস্থ্যকর শরীরের ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে।

স্থূলত্ব কমানোর জন্য ওজন হ্রাস করার লক্ষ্য নির্ধারণ এবং একটি বিস্তৃত জীবনযাত্রার পরিচালনা (যেমন ডায়েট, শারীরিক ক্রিয়াকলাপ, আচরণ পরিবর্তন) অনুসরণ করে শুরু করা যেতে পারে। তবে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে  কোনো ধরনের ওষুধ গ্রহণ বা সার্জারি এড়িয়ে চলা উচিত। নিম্নে স্থূলতা রোধে আরো কিছু বিষয়বস্তু তুলে ধরা হলো: 

খাওয়ার ধরন

স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা, যেমন  বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ও ফল, আস্ত শস্যদানা বা গোটা শস্য, আঁশসমৃদ্ধ খাদ্য, বিভিন্ন ধরনের চর্বিহীন প্রোটিন খাবার এবং কম চর্বিযুক্ত ও চর্বিহীন দুগ্ধজাত পণ্য। এছাড়া শর্করা, কঠিন চর্বি বা সোডিয়ামযুক্ত খাবার ও পানীয় গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। 

শারীরিক কার্যকলাপ

আমেরিকান এক্সটার্নাল আইকন অনুসারে, দুই-পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের সারা দিন শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা উচিত। ৬-১৭ বছর বয়সী শিশুদের প্রতিদিন কমপক্ষে ৬০ মিনিট মাঝারি থেকে জোরালো শারীরিক কার্যকলাপের প্রয়োজন। প্রাপ্তবয়স্কদের সপ্তাহে ১৫০ মিনিট মাঝারি তীব্রতার শারীরিক কার্যকলাপ প্রয়োজন।

ঘুম

নবজাতকদের প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৭ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। বয়সের সঙ্গে সেই পরিমাণ কমে যায়; কিশোর-কিশোরীদের প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন এবং প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন ৭ বা তার বেশি ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন।

এছাড়া আরো কিছু কারণ রয়েছে, যেমন মানসিক চাপ-দুশ্চিন্তা এড়িয়ে চলা, ভাজাপোড়া-ফাস্টফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকা, বেশি বেশি ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়া, ধূমপান ও মদ্যপানের মতো অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস থেকে বিরত থাকা, পর্যাপ্ত পানি পান করা, অলসভাবে শুয়ে-বসে টিভি দেখা বা ফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন