জরায়ুমুখ ক্যান্সার

প্রতিরোধে মেনে চলুন সতর্কতা

বণিক বার্তা ডেস্ক

জরায়ু ক্যান্সার হওয়ার বেশকিছু কারণ রয়েছে। সেগুলো হলো বাল্যবিবাহ, কম বয়সে সহবাস, অধিক সন্তান প্রসব, একাধিক যৌনসঙ্গী থাকা, তামাক সেবন করা, দারিদ্র্য, নিরাপদ যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতার অভাব। তবে সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা, সাবধানতা ও সতর্কতা অবলম্বন করলে এ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব। 

জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে মেনে চলতে হবে কিছু সতর্কতা। জেনে নিন সেগুলো:

এইচপিভি ভ্যাকসিন সম্পর্কে জানা

সাধারণত কোনো ব্যক্তি শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে সক্রিয় হওয়ার আগে এইচপিভি (হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস) ভ্যাকসিন দেয়া হয়। ক্যান্সার প্রতিরোধে এ ভ্যাকসিন সর্বাধিক সুরক্ষা প্রদান করে। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তথ্য মতে, ১১ বা ১২ বছর বয়সীরা এ টিকা নিতে পারবে। তবে আগে টিকা না নেয়া হলে ২৬ বছর বয়সীরাও এ টিকা নিতে পারবে। 

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রুটিনমাফিক স্ক্রিনিং

প্যাপ টেস্টের মাধ্যমে জরায়ুমুখের কোষ নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। এ পরীক্ষায় কোষের এমন কিছু পরিবর্তন লক্ষ করা হয় যা ধীরে ধীরে ক্যান্সারে রূপ নিতে পারে। অর্থাৎ এ পরীক্ষা জরায়ু ক্যান্সারের পূর্বাবস্থা নির্ণয় করতে সক্ষম। জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ না থাকলেও এ পরীক্ষা করানো উচিত। ২১ থেকে ৬৫ বছর পর্যন্ত প্রতিটি নারীর প্রতি তিন বছর পর পর এ পরীক্ষা করা উচিত। যদি প্যাপ টেস্টের সঙ্গে এইচপিভি-ডিএনএ টেস্ট ঠিক থাকে তবে প্রতি পাঁচ বছর পর পর এ টেস্ট করা যাবে। গর্ভাবস্থায়ও এ টেস্ট করা যায়। এ টেস্টের মাধ্যমে কোষের অস্বাভাবিক লক্ষণ ধরা পড়ে। প্যাপ টেস্টের একটি বিকল্প হচ্ছে ভায়া টেস্ট। এটি তুলনামূলক সহজে ও কম খরচে করা যায়। তবে সব ল্যাবরেটরিতে ভায়া টেস্ট হয় না।

নিরাপদ শারীরিক সম্পর্ক

অপরিণত বয়সে শারীরিক সম্পর্ক জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়া একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক এবং এমন কারো সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন যার একাধিক মানুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে—এসব জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকি এড়াতে যৌনসঙ্গীর সংখ্যা সীমিত রাখতে হবে এবং প্রতিবার সহবাস করার সময় কনডম ব্যবহার করতে হবে।

ধূমপান পরিত্যাগ 

আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির মতে, যারা ধূমপান করে না তাদের তুলনায় যারা ধূমপান করে তাদের জরায়ু ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা বেশি। গবেষকরা জানান, ধূমপায়ীদের শ্লেষ্মায় তামাক উপজাত দ্রব্য পাওয়া গেছে, যা জরায়ুর কোষের ডিএনএকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এছাড়া তা জরায়ু ক্যান্সারের কারণও হতে পারে এবং ধূমপান এইচপিভিসহ সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ইমিউন সিস্টেমকেও দুর্বল করে দেয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন