অধ্যাপক ডা. মো. বদরুল আলম
যুগ্ম পরিচালক, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটাল
হাঁটি হাঁটি পা পা করে গত ১১ বছরে ইনস্টিটিউটের কলেবর বেড়েছে। প্রথমে এটি ছিল একটি ৩০০ বেডের হাসপাতাল। এরপর ক্রমান্বয়ে রোগীর চাপ বাড়ায় হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বাড়ানো হয়। এখানে একটি অত্যাধুনিক স্ট্রোক ইউনিট আমরা চালু করেছি।
আমরা ডিজিটাল সাবট্রাকশন এনজিওগ্রাফি বলে একটা এনজিওগ্রাম এনেছি। এ পদ্ধতিতে ব্রেইনের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম রক্তনালিগুলোর এনজিওগ্রাম করা হয়। ফলে রক্তনালিতে যেসব সমস্যা হয় যেমন অ্যানোরিজম বা এভিএম সেগুলো আমরা না কেটেই রক্তনালির মাধ্যমে অপারেশন করে দিতে পারি। আগে এ অপারেশনের জন্য জমি-জায়গা বিক্রি করে মানুষকে দেশের বাইরে যেতে হতো, এখন আর সেটা যেতে হয় না। ব্রেইনের সব বড় বড় অপারেশন আমরা আমাদের এখানে করে থাকি।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সসে আটটি অপারেশন থিয়েটার আছে। তার মধ্যে দুটি ২৪ ঘণ্টা কাজ করে। তাছাড়া দেশে সরকারি ব্যবস্থাপনায় আর কোথাও পেডিয়াট্রিক নিউরোসার্জারি ডেভেলপ করেনি। জনসংখ্যার একটি বড় অংশ শিশু আর তাদের নিউরোলজিক্যাল সমস্যা আরো ব্যাপক ও মারাত্মক। একদিনের শিশু থেকে যেকোনো শিশুর ব্রেইন টিউমার, মাথা বড় হওয়া, মাথায় জন্মগত কোনো সমস্যা থাকলে সেগুলোর চিকিৎসা আমরা করি। এখানে ডেভেলপড পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি ও নিউরোসার্জারি ওয়ার্ড রয়েছে। আমরা আশা করি এ চিকিৎসা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশেষ করে আটটি বিভাগীয় মেডিকেল কলেজে পৌঁছে যাবে। শিগগিরই এর সুফল জনগণ পাবে। আরেকটি হলো বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও উপজেলা হাসপাতালের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রেখে টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে আমরা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। যশোর থেকে রোগী যদি এখানে কথা বলতে পারে তাহলে তাকে আর ঢাকায় আসতে হয় না।
এ ইনস্টিটিউট আরো উন্নত করার পরিকল্পনা হাতে রয়েছে। নিউরোলজির কোনো রোগীকে আর চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে হবে না, বরং আশপাশের দেশ থেকে রোগীরা এখানে চিকিৎসা নিতে আসবে।