শিশুর শ্রবণশক্তি

কানের যত্নে যা করবেন যা করবেন না

বণিক বার্তা ডেস্ক

যোগাযোগে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বহন করে শ্রবণশক্তি। আমাদের পঞ্চইন্দ্রিয়ের গুরুত্বপূর্ণ একটি হচ্ছে শ্রবণশক্তি। আমরা মনে করি বর্তমানে ভালো শুনতে পাচ্ছি বলে কোনো সমস্যাই হচ্ছে না বা হবে না। শব্দদূষণ সৃষ্টিকারী বেশকিছু কাজ আমরা প্রতিনিয়ত করে যাই, যার দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। এতে আমাদের অন্তঃকর্ণের বিশেষ এক ধরনের কোষ ধ্বংস হয়ে শ্রবণশক্তির স্থায়ী ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তবে শ্রবণশক্তি হ্রাস ঠেকাতে বা কানে কম শোনা রোধ করতে যথাযথ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া উচিত। এজন্য গর্ভকালীন অবস্থায় মায়ের যত্ন নিতে হবে। এ সময় অটোটক্সিক বা শ্রবণে ক্ষতিকারক ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। সময়মতো মাকে রুবেলা, বসন্ত, হাম ইত্যাদির টিকা দিতে হবে। 

গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘ সময় উচ্চ ভলিউমে গান শোনা শ্রবণশক্তি কমিয়ে দেয়। তাই হেডফোনে গান শোনার সময় অবশ্যই বিরতি দিয়ে এবং ডিভাইস ভলিউম ৬০ শতাংশ পর্যন্ত রেখে গান শোনা উচিত।

একনাগাড়ে জোরালো শব্দের কারণে অন্তঃকর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই উচ্চশব্দের কল-কারখানার শ্রমিকদের ও তীব্র শব্দের মধ্যে কর্মরতদের কাজের সময় ইয়ার প্লাগ ব্যবহার করা এবং নিয়মিত স্ক্রিনিংয়ে বিশেষ নজর দিতে হবে। গাড়িচালকদের অযথা হর্ন বাজানো থেকে বিরত থাকা উচিত। অপ্রয়োজনীয় শব্দদূষণ প্রতিরোধে প্রয়োজনে আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ করা উচিত।

কানে কম শোনার যন্ত্র বা হিয়ারিং এইড সহজলভ্য করা এবং এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি সব সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কানের শ্রবণশক্তি পরীক্ষা বা অডিওলজি টেস্টের ব্যবস্থা সহজলভ্য করার মাধ্যমে শ্রবণশক্তি রোধ সম্ভব। 

অডিওগ্রাম নামে পরিচিত হেয়ারিং টেস্ট সম্পর্কে জনমনে ধারণা দিতে হবে। কারণ যারা শ্রবণশক্তি হারিয়েছে, তারা প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত করতে পারলে এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা নিলে উপকৃত হতে পারে।

যদি হঠাৎ করেই কেউ কানে কম শোনার সমস্যায় আক্রান্ত হয় তাহলে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা উচিত। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন