ক্যালসিয়াম ঘাটতি

অভাব পূরণে করণীয়

বণিক বার্তা ডেস্ক

ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগকে বলা হয় হাইপোক্যালসেমিয়া। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয়ে যাওয়ার পর তা সমাধানে কিছু পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। কিন্তু কথায় বলে, প্রতিকারের তুলনায় প্রতিরোধ উত্তম। তাই ঘাটতি হওয়ার আগেই এ বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। তাতে এ ধরনের সমস্যার হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করা সম্ভব হবে। 

লগ ইন টু হেলথের বরাতে জেনে নিন কেন হয় ক্যালসিয়ামের ঘাটতি। 

ক্যালসিয়ামের ঘাটতির মূল কারণ খাবারের তালিকায় ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার না থাকা। এতে খাবার থেকেই যেখানে দৈনন্দিন ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হওয়ার কথা তা সম্ভব হয় না। তখন তৈরি হয় ঘাটতি। পরবর্তী সময়ে খাবার দিয়ে আর যা পূরণ করা সম্ভব হয় না। 

অতিরিক্ত ব্যায়ামও ক্যালসিয়াম ঘাটতির কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, হালকা ব্যায়াম করলে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বজায় থাকে।

শরীরের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের নাম ভিটামিন ডি। এ ভিটামিনটি ক্যালসিয়াম শোষণের প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে। যদি শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি থাকে তবে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি নিজে থেকেই শুরু হয়।

প্রচুর পরিমাণে সফট ড্রিংক পান করার অভ্যাসও ক্ষতিকর। এর ফলে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয়।

শরীর দুর্বল হলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়। ক্রীড়াবিদ নারীদের মেনোপজের সময় বেশি ক্যালসিয়াম হ্রাস পাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। 

অতিরিক্ত মেদ, চিনিযুক্ত খাবার, প্রোটিন ডায়েট ক্যালসিয়ামের ঘাটতি সৃষ্টি করে। সফট ড্রিংক, অ্যালকোহল, তামাক, অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার কারণেও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি তৈরি হয়। 

থাইরয়েড গ্রন্থির কোনো সার্জারি হলেও ক্যালসিয়াম কমে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। এছাড়া কিছু ওষুধ খাওয়ার কারণেও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি তৈরি হয়। 

কারো কারো ক্ষেত্রে জেনেটিক কারণেও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি তৈরি হয়।

ক্যালসিয়ামের অভাব তৈরি হওয়ার কারণগুলো তো জানা হলো। এখন জেনে নিন এর প্রতিকার। সমস্যা সমাধানে শুরু থেকেই নিতে হবে পদক্ষেপ। জেনে নিন ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করতে কী কী পদক্ষেপ নিলে উপকার পাবেন। 

ক্যালসিয়ামের পরিমাণ ঠিক রাখতে খাবারের তালিকা নিয়ে অবশ্যই ভাবতে হবে। কোন কোন খাবার খাদ্যতালিকায় যুক্ত করা দরকার সেটা মাথায় রাখতে হবে। আপনার খাবারের তালিকায় চিজ বা পনির যুক্ত করুন। তা থেকেই পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম পাবেন।

ক্যালসিয়াম শোষণ করতে সাহায্য করে ভিটামিন ডি। সেজন্য সেটিও নিয়ম মেনে গ্রহণ করা দরকার। ভিটামিন ডির সবচেয়ে ভালো উৎস সূর্যের আলো। পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি পেতে সকালে রোদে হাঁটুন এবং খাবারের তালিকায় ভিটামিন ডিসমৃদ্ধ খাবারগুলো রাখুন।  

স্বাদ বাড়ালেও স্বাস্থ্যে লবণের নেতিবাচক প্রভাব অনেক। ক্যালসিয়াম সুরক্ষিত রাখতে লবণ কম পরিমাণে খান। এ পদক্ষেপও বেশ কাজে আসবে।

ধূমপানের অভ্যাস শরীরের জন্য খুবই অপকারী। তাই এ ধরনের অভ্যাস ত্যাগ করুন।

ক্যালসিয়াম বাড়ানোর জন্য খাবারের তালিকায় পালং শাক, ব্রকলি, পনির, ডুমুরের রস যুক্ত করতে পারেন। তাতেও বেশ উপকার পাবেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন