অটিজম

সমাজেরও করার আছে অনেক কিছু

বণিক বার্তা ডেস্ক

গবেষণা বলছে, শৈশবে যদি ঠিকঠাক ব্যবস্থা নেয়া যায়, তাহলে অটিজম নিয়ে জন্ম নেয়া শিশু প্রাপ্তবয়সে গিয়ে অনেকখানি স্বাভাবিক হতে পারে। শৈশবে ব্যবস্থা নেয়া বলতে বোঝায় জন্মের ১৮ মাস থেকে ৩৬ মাস বয়সের মধ্যে অটিজম শনাক্তকরণ ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে শিক্ষা পরিকল্পনার মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে শিশুকে সঠিক চিকিৎসা দেয়া। অটিজমের শিকার শিশুর বাবা-মা শুধু তাদের যত্ন নেবেন তা নয়। সেখানে পুরো সমাজেরই করার আছে অনেক কিছু। সত্যি বলতে এক্ষেত্রে সবার সমন্বিত ভূমিকা আরো বেশি সাহায্য করবে শিশুর অগ্রগতিতে। শিশুর বাবা-মা ছাড়াও তত্ত্বাবধায়ক, অভিভাবক, বন্ধুবান্ধব এবং অন্যরা তার পরিস্থিতি সম্পর্কে জেনে এবং অতিরিক্ত মানসিক সমর্থন দিয়ে শিশুর জীবনযাত্রার মান বাড়াতে পারে। অটিজমে আক্রান্ত ব্যক্তির যত্ন নেয়া স্বাভাবিক অভিভাবকত্বের অভিজ্ঞতা থেকে একেবারেই আলাদা, আবার প্রতিটি অটিস্টিক শিশুর যত্ন নেয়ার প্রক্রিয়া আলাদা। তাই কিছু কিছু কর্মকাণ্ড এক্ষেত্রে খুব উপকারী। 

সেক্ষেত্রে আশপাশের সমাজের মানুষের উচিত শিশু কীভাবে অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার দ্বারা প্রভাবিত হয় তা বুঝে নেয়া, জেনে নেয়া। এটা স্বীকার করতেই হবে যে একজন অটিস্টিক ব্যক্তি প্রচলিতভাবে স্বাভাবিক ব্যক্তিদের তুলনায় ভিন্ন হতে পারে, তার পরও তারা তাদের নিজস্ব সক্ষমতা, দুর্বলতা এবং অনুভূতিসহ একটি সম্পূর্ণ ব্যক্তি। অটিস্টিক শিশুর রুটিন এবং নিয়মগুলো পরস্পর সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখা দরকার। এছাড়া শিশুর যেসব বিষয়ে দক্ষতা আছে বা আগ্রহ আছে সেই জায়গাগুলো তৈরি করার ক্ষেত্রেও সাহায্য করতে পারলে বেশ অগ্রগতি দেখা যাবে। এসব শিশু ও তাদের অভিভাবকদের মানসিক সমর্থন দেয়ার জন্য নেটওয়ার্ক তৈরি করা দরকার হতে পারে।

এছাড়া আরো কিছু বিষয় এসব শিশুর যত্নআত্তির ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে। যেমন অতি উত্তেজক পরিবেশ যতদূর সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। একেবারেই সম্ভব না হলে অটিস্টিক ব্যক্তিকে ধীরে ধীরে এ পরিবেশে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। অটিজমের শিকার ব্যক্তিদের পছন্দের বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে সীমা নির্ধারণ করে সহযোগিতামূলক আচরণ আরো বেশি উৎসাহিত করা দরকার হতে পারে। অন্যান্য অটিস্টিক ব্যক্তির অভিজ্ঞতা জানা এবং বুঝতে পারাও এক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারে, কারণ তারা একই ধরনের চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে গেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন