লিপিড প্রোফাইল

লিপিড প্রোফাইল করবেন কখন

রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কতটা রয়েছে সেটা জানার জন্য একটি পরীক্ষা হচ্ছে লিপিড প্রোফাইল। সাধারণভাবে এটি একটি রক্ত পরীক্ষা যা দিয়ে রক্তে কোলেস্টেরল এবং চর্বির পরিমাণ পরিমাপ করা যায়। লিপিড প্রোফাইল আর কিছু নয় রক্তে থাকা সেসব চর্বি যা ভেঙে যায় না।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবেও ডাক্তাররা লিপিড প্রোফাইলের পরামর্শ দিতে পারেন। যাতে সম্ভাব্য অস্বাভাবিকতা থাকলে, রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে অথবা কোনো চিকিৎসা সমস্যা তৈরি হলে তা চিহ্নিত করা যায়। এসবই কখনো কখনো জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণও হয়ে ওঠে।

যদি লিপিড লেভেল অনেক বেশি থাকে তাহলে হার্টের রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়, সেই সঙ্গে বেড়ে যেতে পারে হার্ট অ্যাটাকও। লিপিড প্রোফাইল টেস্ট দিয়ে রক্তে টোটাল কোলেস্টেরল (টিসি) লেভেলও পরিমাপ করা হয়। যার মধ্যে ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরল এবং উপকারী এইচডিএল কোলেস্টেরলও থাকে। এই পরীক্ষার মধ্য দিয়ে আরেক রকমের চর্বি যেটার নাম ট্রাইগ্লিসারাইড (টিজি) সেটাও পরিমাপ করা হয়।   

২০ বছর বয়সের পর সবারই বছরে একবার লিপিড প্রোফাইল করা দরকার। ৪৫ বছরের পর প্রত্যেক পুরুষের এবং ৫০ বছরের পর সব নারীর বছরে দুবার অথবা ডাক্তারের পরামর্শমতো এ পরীক্ষা করা দরকার। যারা এরই মধ্যে করোনারি বা হৃদরোগে ভুগছেন এবং যারা এর আগে লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষায় অস্বাভাবিক ফলাফল পেয়েছেন তাদের আরো ঘন ঘন পরীক্ষা করা দরকার। 

ওজন বেশি থাকলে, আগে থেকে হৃদরোগে আক্রান্ত থাকলে, ডায়াবেটিস থাকলে বা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকলে, অস্বাস্থ্যকর বা জাঙ্ক খাবার বেশি খেলে, ক্রনিক হাইপারটেনশনে ভুগলে, মদ্যপান বা ধূমপানের অভ্যাস থাকলে, ছোটবেলাতেই হৃদরোগের ইতিহাস থাকলে অবশ্যই নিয়মিত লিপিড প্রোফাইল করতে হবে।

যদি নিচের কোনো একটি লক্ষণও আপনার শরীরে দেখা দেয় তাহলে লিপিড প্রোফাইল করতে ভুলবেন না। 

বাম হাতে ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং ওপরের পেটে অস্বস্তি বা ব্যথা, স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বা অতিরিক্ত ঘাম, শ্বাস নিতে সমস্যা, দাঁতে ব্যথা, মাথাব্যথা অথবা চোয়াল ব্যথা, বদহজম বা অম্বল, হাইপারটেনশন। এগুলোর কোনোটি দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শে লিপিড প্রোফাইল করে নিন। 

৯-১১ বছরের শিশুদেরও কখনো কখনো ডাক্তার কোলেস্টেরল পরীক্ষা করতে বলেন, পরে সেটা ১৭-২১ বছরে গিয়ে আবার করা হয়। শিশুর যদি করোনারি রোগ থাকে অথবা শিশুর যদি অধিক ওজন বা ডায়াবেটিস থাকে তাহলে তাকে আরো ঘন ঘন পরীক্ষা করতে বলা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন